E-Paper

বেহাল রাস্তা, বিক্ষোভে কাঁকসার স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষিকারা

এই রাস্তাটি রয়েছে বর্ধমান সেচখালের পাশে। ওই রাস্তাটিরই একাংশ বর্তমানে বেহাল। শিক্ষিকা পুতুল মণ্ডল বলেন, “সেচখাল সংস্কারের জন্য রাস্তার এই অংশটি বেহাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৩ ০৬:৪৭
পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায়। সোমবার।

পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায়। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র।

এক ঝলক দেখলে, মেঠো রাস্তা বলেও ভুল হতে পারে। তারই এক পাশে দাঁড়িয়ে খুদে ছাত্রছাত্রীর দল। রয়েছেন শিক্ষিকারাও। ওঁদের একটাই দাবি, কাঁকসার রেলপাড় থেকে পলাশডাঙা যাওয়ার এই রাস্তাটির রেলপাড় থেকে দু’শো মিটার সংস্কার করতে হবে। সোমবারের ঘটনা। শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, বর্ষায় রাস্তার এমন হাল যে চলাফেরা করা যাচ্ছে না। শিশুদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকেরাও।

বেশ কয়েক বছর আগে ওই রাস্তাটির পাশেই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম একটি প্রাথমিক স্কুল তৈরি হয়। স্কুলটিতে পানাগড় রেলপাড়, সিলামপুর, পলাশডাঙা-সহ নানা এলাকা থেকে অনেকেই পড়তে আসে। রাস্তাটি শিক্ষিকা, পড়ুয়ারা ছাড়াও পলাশডাঙা-সহ কিছু গ্রামের বাসিন্দারাও ব্যবহার করেন।

এই রাস্তাটি রয়েছে বর্ধমান সেচখালের পাশে। ওই রাস্তাটিরই একাংশ বর্তমানে বেহাল। শিক্ষিকা পুতুল মণ্ডল বলেন, “সেচখাল সংস্কারের জন্য রাস্তার এই অংশটি বেহাল। বর্ষায় যাতায়াত করা যাচ্ছে না। স্কুলের তরফে বার বার ওই অংশে মোরাম ফেলা হয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই বর্ষায় তা টিকছে না।”স্কুলের শিক্ষিকা মধুমিতা রায় জানাচ্ছেন, বৃষ্টিতে রাস্তা কাদায় ভরেছে।প্রায় দিনই কেউ না কেউ রাস্তায় পড়ে যাচ্ছেন। পড়ুয়ারাও চরম সমস্যায় পড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলে, “রাস্তাটি খুব খারাপ। প্রায়ই আমাদের অনেকে পড়েও যায়।”

যদিও, তৃণমূল পরিচালিত কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রেও জানা গিয়েছে, সেচখালের কাজ চলার জন্য রাস্তার অংশটি বেহাল। পঞ্চায়েতসমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, “রাস্তাটি আগে পাকা ছিল। দ্রুত সেটি পাকা করার ব্যবস্থাকরা হবে।”

এ দিনই বুদবুদের কোটা গ্রামের মহিলারা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে কোটা পঞ্চায়েতে প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গ্রামের রাস্তা এখনও মাটির। ফলে, বর্ষার সময় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। আগেও পঞ্চায়েতে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।কিন্তু কাজ হয়নি। এ দিন বিক্ষোভকারীরা পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে স্মরকলিপি জমা দেন। পঞ্চায়েত প্রধান ইন্দিরা চক্রবর্তী জানান, দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kanksa

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy