Advertisement
E-Paper

ফের লুঠ, প্রশ্ন নিরাপত্তা নিয়ে

কয়েকমাসের মধ্যেই ফের তালা ভেঙে পরপর ছ’টি দোকানে লুঠের ঘটনা ঘটল কাটোয়া রায়েরপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। লুঠপাট শেষে দুষ্কৃতীরা একটি মন্দিরের প্রণামীর বাক্সও নিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিরাপত্তার অভাব ও আতঙ্ক একটাই বেড়ে গিয়েছে যে দোকান পাহারা দিতে কোনও নৈশ প্রহরীও রাজী হচ্ছেন না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৫ ০১:২০
লুঠপাটের পরে। নিজস্ব চিত্র।

লুঠপাটের পরে। নিজস্ব চিত্র।

কয়েকমাসের মধ্যেই ফের তালা ভেঙে পরপর ছ’টি দোকানে লুঠের ঘটনা ঘটল কাটোয়া রায়েরপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। লুঠপাট শেষে দুষ্কৃতীরা একটি মন্দিরের প্রণামীর বাক্সও নিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিরাপত্তার অভাব ও আতঙ্ক একটাই বেড়ে গিয়েছে যে দোকান পাহারা দিতে কোনও নৈশ প্রহরীও রাজী হচ্ছেন না।
রায়েরপাড়া এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, চুরি যাওয়া দোকানগুলির মধ্যে দু’টি গয়নার দোকান, ডেকরেটরের দোকান রয়েছে। আবার কম্পিউটারের দোকান ও মুদিখানার দোকানও রয়েছে। সোমবার ভোরে দোকান খোলার জন্য ব্যবসায়ীরা রায়েরপাড়া বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হলে ঘটনাটি নজরে পড়ে তাঁদের। এরপরেই ওই দোকানদারদের বাড়িতে খবর পাঠান তাঁরা। পুলিশেও খবর দেন। কিছুক্ষণ পরে কাটোয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নিরাপত্তা ও পরপর চুরি নিয়ে ক্ষোভ জানান ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত ৫ এপ্রিল সকালে এলাকারই একটি গয়নার দোকানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তার কয়েকমাস আগে রায়েরপাড়া বাসস্ট্যান্ডে একটি গয়নার দোকানে লুঠ হয়। নিরাপত্তার দাবিতে এপ্রিল মাসে কাটোয়া-করুই রাস্তাও অবরোধ করেন ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা। পুলিশের দ্রুত অপরাধীদের ধরার আশ্বাসে অবরোধ উঠলেও রায়েরপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লুঠের ঘটনা কিন্তু বন্ধ হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা হান্নান শেখের দাবি, ‘‘রায়েরপাড়ার এই এলাকাটি স্থানীয় আট-দশটি গ্রামের সংযোগস্থল। ওই সব গ্রামের বাসিন্দারা এখানে ব্যবসা করেন। বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটলে ব্যবসার যেমন ক্ষতি হবে, তেমনি নতুনরাও এই এলাকায় ব্যবসা করতে উৎসাহী হবেন না।” স্থানীয় ব্যবসায়ী শেখ মনিরুল, বাপ্পা দত্তদেরও অভিযোগ, “স্থানীয় মার্কেট কমপ্লেক্সের মূল গেটের তালা দুষ্কৃতীরা ভাঙতে পারলে আরও ক্ষতি হত।” পরপর এমন ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এলাকার এক ব্যবসায়ী সাদেক আলি মণ্ডলের দাবি, “পরিস্থিতি এতটাই আতঙ্কের যে, নৈশপ্রহরীরা কেউ রায়েরপাড়ায় আসতেই চাইছেন না।”

সুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, স্থানীয় বাসিন্দা ধানুগোপাল হালদারের অবশ্য আশ্বাস, ‘‘আমরা পুলিশ প্রশাসনকে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আবেদন করব।”

তবে পরপর এমন ঘটনায় গ্রামেরই কেউ জড়িত রয়েছেন বলে অনুমান র্ধমান জেলা পুলিশের। এক পুলিশকর্তা বলেন, “আমাদের ধারণা, একের পর এক দোকানে চুরির ঘটনায় স্থানীয়রা জড়িত আছেন। আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি। পুলিশের টহল আরও বাড়ানো হবে।”

রায়েরপাড়া বাসস্টপ থেকে কিছুটা দূরে পঞ্চাননতলা উচ্চবিদ্যালয়েও শুক্রবার চুরি হয়। সেই ঘটনারও কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।

Shop robbery Katwa Police Roypara Bus Stand Sadek Ali Box
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy