Advertisement
০৪ মে ২০২৪

গ্রামে ঘুরে কাজের খোঁজ নেবে ছাত্রেরা

বৃহস্পতিবার জেলা পর্যায়ে উন্নয়ন-বৈঠকে জেলাশাসক সবিস্তারে মহকুমাশাসক ও বিডিওদের এই প্রকল্পের বিষয়ে জানান। পড়ুয়ারা কোন কোন গ্রাম যাবেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জেলায় পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৭ ০৭:০০
Share: Save:

সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে কী ভাবে চলে, কী কাজ হয়, তা নিয়ে সম্যক ধারণা সাধারণত পড়ুয়াদের থাকে না। এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের গ্রামে ঘুরিয়ে কাজ দেখানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। প্রকল্প সম্পর্কে গ্রামের মানুষদের জানানোর পাশাপাশি অসঙ্গতিও বের করবেন পড়ুয়ারা। আগামী মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ উদ্যোগে একটি কর্মশালাও হতে চলেছে।

‘পরিচিতি’ নামের এই প্রকল্পে ২৫০ জন পড়ুয়া থাকবে। ১০ জন করে পড়ুয়াদের নিয়ে একটি দল তৈরি করা হবে। প্রতি দলের এক জন সরকারি আধিকারিক ও এক জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকবেন। প্রথম পর্যায়ে ১২টি ব্লকের ১২টি গ্রাম ঘুরবেন তাঁরা। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে জানবে পড়ুয়ারা। তারপর গ্রামের মানুষের সঙ্গে বসে প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করে আমাদের রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বৃহস্পতিবার জেলা পর্যায়ে উন্নয়ন-বৈঠকে জেলাশাসক সবিস্তারে মহকুমাশাসক ও বিডিওদের এই প্রকল্পের বিষয়ে জানান। পড়ুয়ারা কোন কোন গ্রাম যাবেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জেলায় পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে আউশগ্রাম ১, ভাতার, বর্ধমান ২, গলসি ২, কালনা ১, কাটোয়া ১ পূর্বস্থলী ১ ও ২, কেতুগ্রাম ১, খণ্ডঘোষ, মন্তেশ্বর, রায়না ২ ব্লকের গ্রামে পড়ুয়ারা যাবেন। জানা গিয়েছে, শৌচাগার থাকলেও কেন ব্যবহার হয় না, কন্যাশ্রীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কি না, কিংবা বিধবা বা বার্ধক্য ভাতা পেতে কী কী সমস্যা হয়—এ ধরণের ৬টি প্রকল্পের (কন্যাশ্রী, আবাসন, পেনশন, ১০০ দিনের কাজ, নির্মল মিশন বাংলা ও স্কলারশিপ) ৫০-৬০টি প্রশ্ন নিয়ে পড়ুয়ারা বাড়ি বাড়ি যাবেন। প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা ১০০ দিন কাজের নোডাল অফিসার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “আপাতত এই প্রকল্পের জন্য ছোট গ্রামগুলিকেই বাছার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিডিওদের।”

হঠাৎ এ রকম সিদ্ধান্তের কারণ? জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সরকারি প্রকল্প নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিল। হালহকিকতও জানতে চেয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই প্রকল্প।’’ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহা বলেন, “কর্মশালার দিন আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে পড়ুয়াদের নাম দেব। এ ধরণের উদ্যোগে পড়ুয়ারা বাস্তব সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE