Advertisement
E-Paper

ঝুঁকি মাথায় নিয়েই দেদার স্নান লকগেটে

স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, বাঁকুড়ার সোনামুখীর ফকিরডাঙা, রাধামোহনপুর, বনগ্রাম, বোঁদলহাটি-সহ নানা গ্রাম থেকে রণডিহায় আসার সহজ পথ, দামোদর পারাপার। একটি ফেরিঘাটও রয়েছে রণডিহায়। ফি দিন বাঁকুড়া থেকে বহু মানুষ আনাজ, দুধ বিক্রি করতে এ পারে আসেন।

বিপ্লব ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ০০:০৫
রণডিহায় দামোদরে। নিজস্ব চিত্র

রণডিহায় দামোদরে। নিজস্ব চিত্র

কখনও লকগেটের তলা দিয়ে হেঁটে দামোদর পারাপার। কখনও বা স্নান করা, মাছ ধরার হিড়িক। জল কমলে এটাই ফি দিনের চেনা ছবি বুদবুদের রণডিহার লকগেটের কাছাকাছি এলাকার। আর তা করতে গিয়ে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা।

সোমবার সকালেই মাছ ধরতে এসে তলিয়ে গিয়েছিলেন সোনামুখীর তুহিন কোলে (১৮)। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল থেকে দু’কিলোমিটার দূরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের উপযুক্ত নজরদারি এবং একাংশের সচেতনতার অভাবে ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, বাঁকুড়ার সোনামুখীর ফকিরডাঙা, রাধামোহনপুর, বনগ্রাম, বোঁদলহাটি-সহ নানা গ্রাম থেকে রণডিহায় আসার সহজ পথ, দামোদর পারাপার। একটি ফেরিঘাটও রয়েছে রণডিহায়। ফি দিন বাঁকুড়া থেকে বহু মানুষ আনাজ, দুধ বিক্রি করতে এ পারে আসেন।

বাঁকুড়ার দিক থেকে কিছুটা হেঁটে এলেই লকগেট। লকগেটের কিছু অংশ বাঁধানো, তার পরে বড় বড় পাথর পড়ে রয়েছে। ওই সব জায়গায় জলের গভীরতাও বেশি। বাসিন্দারা জানান, লকগেট থেকে জল পড়ে নীচের অংশটি গভীর। ওই জায়গায় বিপদ হওয়ায় দ্বস্তুর বলে দাবি বাসিন্দাদের। সোমবার সকালে এ রকমই একটি জায়গায় মাছ ধরতে এসে তলিয়ে যান সোনামুখীর পূর্ব পত্রবাটির বাসিন্দা তুহিন কোলে। অতীতে নদীর ওই অংশে পানাগড়ের এক যুবক, এক আনাজ বিক্রেতার তলিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। অনেকে আবার পাথরে ঠোক্কর খেয়ে বিপদে পড়েন।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, তার পরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসন বা সাধারণ মানুষ, কারওই। ঝুঁকির দৃশ্যগুলো কেমন? বাসিন্দারা জানান, কেউ মাছ ধরেন, কেউ বা স্নান করতে জামোদরে নামেন। রণডিহায় রয়েছে তিনটি লকগেট। এই মুহূর্তে প্রতিটি গেটই খোলা রয়েছে। বাসিন্দারা জানান, বাঁকুড়ার দিক থেকে অনেকে মোটরবাইক, সাইকেলে চড়ে চেকড্যামের নীচে দিয়ে লকগেট পর্যন্তও চলে আসেন। তা ছাড়া দিনভর লকগেটের কাছে ঘুরতে আসা, এমনকী লকগেটের পাঁচিলের উপরে চড়ে বসা, মদ্যপদের দাপাদাপির দৃশ্যও আকছার। অভিযোগ, লকগেটের কাছে যেতে নিষেধ করলে বচসা বাধে বাসিন্দাদের সঙ্গে।

রণডিহার বাসিন্দা দিলীপকুমার ঘোষ, মলয় চট্টোপাধ্যায়েরা বলেন, ‘‘প্রশাসনের নজরদারি ও সাধারণের সচেতনতা প্রয়োজন।’’ যদিও পুরো এলাকাটি পড়ছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের মধ্যে। গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নজরদারির বিষয়ে বাঁকুড়া প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা হবে। আমরা সব রকম সাহায্য করব।’’

Damodar River Randiha রণডিহা বাঁকুড়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy