E-Paper

জলপ্রকল্প আছে, তবু কাঁকসার গ্রামে পর্যাপ্ত জল মেলে না

জলপ্রকল্প শুরুর সময়ে তাঁরা ভেবেছিলেন, এ বার থেকে পর্যাপ্ত জল মিলবে। দিনে দু’বার করে জল দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই সমস্যা দেখা দেয় ত্রিলোকচন্দ্রপুর, পিয়ারিগঞ্জ গ্রামে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৬:১৯
Water Project

কাঁকসার দোমড়ায় জলপ্রকল্প। নিজস্ব চিত্র নিজস্ব চিত্র।

এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর বছর তিনেক আগে কাঁকসার ত্রিলোকচন্দ্রপুরের দোমড়ায় একটি জলপ্রকল্প তৈরি করে। পাইপলাইনে জলও সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন গ্রামে। কিন্তু কিছু গ্রামে পর্যাপ্ত জল পাওয়া যাচ্ছে না, এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। তাঁদের অভিযোগ, ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামেই পুরো এলাকাটি জুড়ে পর্যাপ্ত জল মেলে না।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মূলত ত্রিলোকচন্দ্রপুরের পঞ্চায়েতের দোমড়া, সুন্দিয়ারা, পিয়ারিগঞ্জ, ত্রিলোকচন্দ্রপুর, চারের মাইলের পাশাপাশি গোপালপুর পঞ্চায়েতের ভালুককোঁদা গ্রাম পর্যন্ত পাইপলানে জলের সংযোগ দেওয়ার কথা। সে মতো ওই গ্রামগুলিতে পাইপলাইন পাতা হয়েছে। বাড়ি-বাড়ি জলের সংযোগও দেওয়া হয়। দোমড়া, সুন্দিয়ারা, ত্রিলোকচন্দ্রপুর, পিয়ারিগঞ্জের মতো গ্রামগুলিতে জল সরবরাহ শুরুও হয়েছে। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি, জলপ্রকল্প শুরুর সময়ে তাঁরা ভেবেছিলেন, এ বার থেকে পর্যাপ্ত জল মিলবে। দিনে দু’বার করে জল দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই সমস্যা দেখা দেয় ত্রিলোকচন্দ্রপুর, পিয়ারিগঞ্জ গ্রামে। গ্রামবাসী জানান, প্রথম দিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু কিছু দিন পরেই তার পরিমাণ কমতে থাকে। বর্তমানে দু’বার পাইপলাইনে জল মিললেও, এক বারে দু’বালতির বেশি জল মেলে না। ফলে সমস্যা মিটছে না। ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, গ্রামে প্রায় পাঁচশোটি জলের সংযোগ রয়েছেয়। এ বছর মাসখানেক ধরে তীব্র জলকষ্ট শুরু হয়েছে গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দা তনজ মণ্ডল, সুশান্ত সাহারা জানান, এ ভাবে চলতে থাকলে জল নিয়ে চরম সঙ্কট তৈরি হবে এলাকায়। গ্রামের নলকূপগুলি থেকেও পর্যাপ্ত জল মেলে না।

তবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে পাইপলাইনের কাজ চলছে। বাড়ি-বাড়ি জল সংযোগ হওয়ার ফলে জলের চাপ কমে যাচ্ছে। তাই প্রকল্প এলাকা থেকে বেশি দূরের এলাকায় ঠিক মতো জল পৌঁছচ্ছে না। এ বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সাহিনা বেগম বলেন, “আমরা বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শুনেছি। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পাইপলাইন পাতার কাজ শেষ হয়ে গেলেই সমস্যা মিটবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kanksa Water crisis

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy