নদিয়া হোক বা খাস কলকাতা— গত কয়েক বছরে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় শাসক দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-র নেতিবাচক ভূমিকার অভিযোগ বারবার সামনে এসেছে। রাজ্যে তৃণমূল দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পরে গোড়াতেই বার্তা দেওয়া হয়েছে চলতি শিক্ষাবর্ষে কোনও কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়ায় নাক গলাবে না তাদের ছাত্র সংগঠন। সেই সূত্রেই শনিবার কালনায় ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের দূরে রাখার বার্তা দিলেন টিএমসিপি-র রাজ্য সহ-সভাপতি সন্দীপ বসু।
এ দিন কালনা কলেজের বৈঠকে পূর্বস্থলী, কালনা-সহ মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের টিএমসিপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই সন্দীপবাবু জানান, ‘‘ভর্তি প্রক্রিয়ায় সংগঠনের ব্যানারে কোনও হেল্প ডেস্ক বসানো যাবে না।’’ আচমকা এমন নির্দেশ? জেলার শিক্ষাবিদদের একাংশের যুক্তি, অতীতে এই হেল্প ডেস্কগুলি থেকেই ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয়, এ দিনের বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সংগঠনের কোনও নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে প্রথমে পুলিশে অভিযোগ করা হবে। তারপরে হবে দলীয় তদন্ত। এ দিন কালনা কলেজের বেশ কিছু সমস্যা সমাধানের দাবিতে অধ্যক্ষের সঙ্গেও দেখা করেন সন্দীপবাবুরা। টিএমসিপি-র অভিযোগ, বহু পড়ুয়াকে কলেজে এসেও ক্লাস না করে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এই বিষয়ে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নজরদারির দাবি করেন তাঁরা। বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতে পড়ুয়াদের পরিচয়পত্র রাখা বাধ্যতামূলক করারও দাবি জানানো হয়। অধ্যক্ষ তাপসকুমার সামন্ত বলেন, ‘‘দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে।’’
শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের এই সব নির্দেশকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বামেরা। জেলার এক এসএফআই নেতার বক্তব্য, ‘‘না আঁচালে এ সব নির্দেশে বিশ্বাস নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy