শোকাহত: কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পরিজনেরা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
গলানো লোহা গায়ে পড়ে পশ্চিম বর্ধমানের বার্নপুরের ইস্কো কারখানায় মৃত্যু হল দুই ঠিকা শ্রমিকের। শনিবার ভোরে এই দুর্ঘটনায় আহত আরও সাত। তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আধুনিকীকরণের পরেও কারখানায় এমন দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। সংস্থার জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার বলেন, ‘‘তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়া হয়েছে।’’
ইস্কো সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর ৪টে নাগাদ কারখানার ‘স্টিল মেল্টিং’ বিভাগে বেশ কয়েকজন ঠিকা শ্রমিক কাজ করছিলেন। একটি বড় পাত্রে গলানো লোহা ক্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ পাত্রটি কাত হয়ে গরম লোহা পড়ে ন’জনের গায়ে। ইস্কো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তারেরা শেখ শাহনওয়াজ (৩২) ও আশিস সিক্কাকে (২৮) মৃত বলে ঘোষণা করেন। তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি চার জনকে দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঁদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।
দুর্ঘটনার খবর পেতেই শ্রমিক সংগঠনগুলি কারখানা চত্বরে বিক্ষোভ দেখায়। কী ভাবে গলিত লোহার পাত্রটি কাত হল, যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল, না অসতর্কতায় এমন ঘটল— প্রশ্ন তোলেন শ্রমিক-নেতারা। আইএনটিইউসি সংগঠনের নেতা হরজিৎ সিংহের অভিযোগ, ‘‘সুরক্ষা ব্যবস্থায় গাফিলতি ছিল বলেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছি।’’ সিটু নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘১৭ হাজার কোটি টাকায় কারখানার আধুনিকীকরণ হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনও শ্রমিকদের উপযুক্ত নিরাপত্তা দিতে পারছেন না!’’ শ্রমিক-নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ মানেননি ইস্কো কর্তৃপক্ষ। তাঁরা বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞেরা তদন্ত করছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy