Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

আন্ডারপাসে নেই পুলিশ, ঘটছে বিপত্তি

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই আন্ডারপাসটি খুবই বিপজ্জনক। সোঁয়াই থেকে কাঁকসা যাওয়ার পথে পড়ে আন্ডারপাসটি। আবার ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সার্ভিস রোড ধরে বহু গাড়ি ‘হয়রানি’ থেকে বাঁচতে এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে।

বুদবুদের পণ্ডালি আন্ডারপাস। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

বুদবুদের পণ্ডালি আন্ডারপাস। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০১:০২
Share: Save:

২ নম্বর জাতীয় সড়কের কাঁকসার বিরুডিহা থেকে পানাগড় রেল ওভারব্রিজ পর্যন্ত রয়েছে ছ’টি আন্ডারপাস। সেগুলিতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এর পরে ওই সব এলাকায় কিছু দিন ট্র্যাফিক পুলিশি তৎপরতা দেখা যায়। কিন্তু কয়েক দিন পরে অবস্থা যে কে সেই। এমনকি, কিছু জায়গায় কোনও ট্র্যাফিক কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখাও যায় না।

বৃহস্পতিবার ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পানাগড় বাইপাসের সোঁয়াই আন্ডারপাসে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক দশম শ্রেণির ছাত্রীর। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই আন্ডারপাসটি খুবই বিপজ্জনক। সোঁয়াই থেকে কাঁকসা যাওয়ার পথে পড়ে আন্ডারপাসটি। আবার ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সার্ভিস রোড ধরে বহু গাড়ি ‘হয়রানি’ থেকে বাঁচতে এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে। কিন্তু এই জায়গায় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য মাঝেসাঝে এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা যায়। মাঝেসাঝে তিনিও থাকেন না বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, এক জনের পক্ষে সব দিক খেয়াল রাখাটাও সম্ভব হয় না। এই আন্ডারপাসে সব সময়ের জন্য কর্মী রাখার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এমনকি, সার্ভিস রোড ধরে গাড়ির যাতায়াত নিয়ন্ত্রণেরও দাবি উঠেছে।

বৃহস্পতিবার যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, শুক্রবার সেই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, অন্ডারপাসের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য চার জন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। সার্ভিস রোডের দু’দিকেই যাতে বড় গাড়ি যাতায়াত করতে না পারে তার জন্য অস্থায়ী ডিভাইডারও লাগানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বাসুদেব কোনার, রজত মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘পুলিশ আগে এমন কিছু পদক্ষেপ করলে হয়তো ওই ছাত্রীর মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হতো।’’

তবে এই আন্ডারপাসটির পথ-নিরাপত্তায় গুরুত্ব দেওয়া হলেও লাগোয়া আন্ডারপাসে দেখা মিলল না কোনও সিভিক বা পুলিশ কর্মীর। অথচ এই আন্ডারপাসটি বেসরকারি সার কারখানায় যাওয়ার জন্য, পানাগড় বাজার থেকে বর্ধমানের দিকে যেতে ব্যবহার করে গাড়়িগুলি। এলাকাবাসী জানান, এই আন্ডারপাসটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গায় বছরখানেক আগেই একটি ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষও হয়। কোনও প্রাণহানি না হলেও বেশ কয়েক জন জখম হয়েছিলেন ওই ঘটনায়। এ ছাড়াও ফি দিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।

একই হাল পানাগড় গ্রাম আন্ডারপাসটিরও। সেখানেও কোনও পুলিশ বা সিভিক ভলান্টিয়ারের দেখা মেলেনি। যদিও এ বিষয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, সব জায়গায় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সংখ্যায় সিভিক ভলান্টিয়ার বা ট্র্যাফিক কর্মী থাকা দরকার, তা নেই। তবে যতটা সম্ভব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kanksa Underpass Accident Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE