Advertisement
০৪ মে ২০২৪

একশো দিনের কাজ না মেলায় বিক্ষোভ ভাতারে

গ্রামের বিজেপি নেত্রী শুচিস্মিতা হাটির অভিযোগ, ‘‘২০১৬ থেকে আমাদের গ্রামে অনেকেই কাজ পাননি। ব্লক দফতর, পঞ্চায়েত প্রধানের কাছেও কাজ চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু কাজ দেওয়া হয়নি। রবিবার কাজ শুরু হতেই আমরা সেখানে গিয়ে সুপারভাইজারের কাছে কাজের দাবি জানাই।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভাতার শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০৯
Share: Save:

তিন বছর ধরে দাবি জানিয়েও একশো দিনের প্রকল্পে কাজ পাননি অনেকে, অভিযোগ গ্রামবাসীদের একাংশের। সেচনালা সংস্কারের কাজ শুরু হতেই প্রকল্পের স্থানীয় সুপারভাইজারের কাছে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তার পরেই সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ, ভাতারের বামুনাড়া পঞ্চায়েতের কুমারুন গ্রামে বিজেপি-র নেতৃত্বে কাজের জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় কিছু বাসিন্দা।

গ্রামের বিজেপি নেত্রী শুচিস্মিতা হাটির অভিযোগ, ‘‘২০১৬ থেকে আমাদের গ্রামে অনেকেই কাজ পাননি। ব্লক দফতর, পঞ্চায়েত প্রধানের কাছেও কাজ চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু কাজ দেওয়া হয়নি। রবিবার কাজ শুরু হতেই আমরা সেখানে গিয়ে সুপারভাইজারের কাছে কাজের দাবি জানাই।’’ পঞ্চায়েত প্রধানকে চিঠি দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরা তিন বছর ধরে একশো দিন কাজের জন্য আবেদন করলেও তা পাননি। জবকার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞাত কারণে কাজ দেওয়া হচ্ছে না বলে তাঁদের দাবি। গত অগস্টে বিডিও-কে চিঠি দিয়ে তাঁরা যাতে একশো দিনের কাজ পান, তা দেখার অনুরোধ করেছিলেন।

কিন্তু কাজ দেওয়ার ব্যাপারে প্রধান বা বিডিও গা করেননি বলে অভিযোগ ওই বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত বা ব্লক দফতরে আবেদনের সঙ্গে জবকার্ডের প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছিল। সেগুলিতে চোখ বোলালেই দেখা যাবে, বেশিরভাগ আবেদনকারী শেষ কাজ পেয়েছেন ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। তার পর থেকে তাঁদের জবকার্ডে আর কোনও তথ্য নেই। গ্রামবাসী বাসুদেব মাঝি, সুমন্ত হাটিরা দাবি করেন, ‘‘এখন এক সঙ্গে প্রায় ২২০০ জনকে নিয়ে কাজ হচ্ছে। এর আগে রাস্তায় মাটি ফেলা, গাছ পরিচর্যার কাজ হয়েছে। আমাদের সেই কাজও দেওয়া হয়নি।’’

বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না কেন, এই প্রশ্ন তোলা হলে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা তাঁদের জানান, নেতাদের সঙ্গে ‘ডিল’ করতে হবে। তা না হলে কাজ দেওয়া হবে না। কীসের জন্য ‘ডিল’ করতে হবে, এই প্রশ্ন তুলে হইচই শুরু হয়ে যায়। তার পরেই কাজ বন্ধ করে এলাকা থেকে একশো দিনের কাজের সুপারভাইজার পালিয়ে যান বলে দাবি ওই বাসিন্দাদের। বিজেপি নেত্রীর অভিযোগ, “পরিকল্পিত ভাবে আমাদের কাজ দেওয়া হচ্ছে না। একশো দিনের কাজের নিয়ম অনুসারে বিডিও-র কাছে ভাতার দাবিতে আবেদন করা হবে।’’

বামুনাড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মানোয়ারা ইসলাম অবশ্য বলেন, ‘‘বিজেপি বা তৃণমূল কোনও বিষয় নয়। মানুষ কাজ চেয়েছেন, তাঁদের একশো দিনের প্রকল্পে কাজ দিতে হবে। কুমারুন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানো হবে।’’ তবে তাঁর দাবি, এখন যে ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে, তাতে সবাইকে কাজ দেওয়া সম্ভব নয়। বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাস, ওই বাসিন্দাদের দাবি খতিয়ে দেখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

100 Dayas Work Burdwan Bhatar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE