মাইক, সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নাচ, কালনার ধর্মডাঙায়। নিজস্ব চিত্র
উৎসব মানেই কানফাটানো শব্দের দাপট। বছরের শেষ রাত আর প্রথম দিনে অন্তত এটাই টের পেলেন বর্ধমানের বাসিন্দারা।
মহালয়ায় শব্দবাজির তাণ্ডবের পরে দেওয়ালিতে পুলিশ দাবি করেছিল শব্দবাজি, সাউন্ড বক্স, ডিজেতে রাশ টানা গিয়েছেন অনেকটা। কিন্তু সোমবার মধ্যরাতের শব্দবাজি আর মঙ্গলবার সকাল থেকে মাইক, তারস্বরে বক্স বাজিয়ে পিকনিক জানান দিল এ ক’মাসে পরিস্থিতি ফের যে কে সেই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখা গেল নানা মন্তব্য। শহরের এক জনের পোস্ট দিলেন, ‘বর্ষবরণ নাকি তৃতীয় বিশ্বযুব্ধ বোঝা গেল না!’
অভিযোগ, সোমবার রাতে গোলাপবাগ, বাবুরবাগ, বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়া, মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া নার্স কোয়ার্টার এলাকা, নতুনপল্লি, আলমগঞ্জে রাতভর শব্দবাজি ফাটে। আবার সকাল হতে না হতেই গাড়িতে, গাড়িতে সাউন্ড সিস্টেম বেঁধে নিয়ে পিকনিক করতে যাওয়ার ধুম। বর্ধমানের দামোদরের সদরঘাটে বালির চরে ট্রাক্টরে সাউন্ড সিস্টেম বোঝাই করে, ডেসিবেলের মাপকাঠি না মেনে হুল্লোড় করতে দেখা যায় কমবয়েসীদের। কাঞ্চননগরের ডিভিসি এলাকা, বেলকাশের সাইফন, বাঁকা নদীর ধারে রেনিকোট বা বর্ধমান-সিউড়ি রোডের ধারের খড়ির গণ্ডি এলাকাতেও মাত্রা ছাড়ায় গানের আওয়াজ। জিটি রোড দিয়ে পিকনিক করতে যাওয়ার সময়েও তারস্বরে মাউক বাজানো হয় বলে শহরবাসীর অভিযোগ। কালনার ধর্মডাঙায় হুগলি নদীর ধারে, কাটোয়ায় অজয়ের পাড়েও লাগামছাড়া শব্দে বাজে গান।
জেলা পুলিশের যদিও দাবি, যে সমস্ত এলাকা থেকে জোরে বক্স বাজানো বা শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ মিলেছে সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে।
গত দেওয়ালির আগে জেলা পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা শহরের একাধিক বাজারে অভিযান চালায়। থানাগুলিকে দেওয়া হয় ‘সাউন্ড লেবেল মিটার’, যাতে নির্ধারিত মাপকাঠি ছাড়ালেই ধরা পড়ে। কিন্তু বর্ষবরণেও যে এমনটা হতে পারে, তা বোঝা যায়নি বলে মানছেন জেলা পুলিশের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy