অন্ডাল স্টেশনে তখন চলছে বিক্ষোভ। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ।
প্রায় প্রতি দিনই দেরি করে আসে বর্ধমান-পুরুলিয়া ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায় নিত্যযাত্রীদের। এই অভিযোগে মঙ্গলবার প্রায় তিন ঘণ্টা রেল অবরোধ হল অন্ডাল স্টেশনে। অবরোধ চলার সময়ে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে তিনটি প্যাসেঞ্জার, তিনটি এক্সপ্রেস ও একটি মেল ট্রেন। দুর্ভোগে পড়েন ওই সব ট্রেনের যাত্রীরা। যদিও নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চালানোর ব্যাপারে গাফিলতির কথা মানেনি রেল।
রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান থেকে ছেড়ে পুরুলিয়া ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির অন্ডাল স্টেশনে ঢোকার নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা। কিন্তু এ দিন সকাল ১০টা ২৫ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি অন্ডালে পৌঁছয়। এর পরেই স্টেশনে উপস্থিত নিত্যযাত্রীরা ট্রেনটির সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ট্রেনটিকে প্রতি দিন নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে ঢুকতে হবে বলে দাবি করেন তাঁরা। এ বিষয়ে ডিআরএমের লিখিত প্রতিশ্রুতিও চাওয়া হয়। অবরোধ চলার জন্য বিভিন্ন স্টেশনে আটকে যায় বারাউনি আপ প্যাসেঞ্জার, ডাউন জম্মু তাওয়াই, হাওড়া-ধানবাদ ডবল ডেকার, বর্ধমান-আসানসোল ফাস্ট প্যাসেঞ্জার,মুম্বই মেল ও বাগ এক্সপ্রেস। রেলের অন্ডাল এরিয়া ম্যানেজার নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চালানোর প্রতিশ্রুতি দিলে দুপুর ১টা ২৫ নাগাদ বিক্ষোভ থামে।
এ দিন বর্ধমান-পুরুলিয়া ফাস্ট প্যাসেঞ্জার নিয়ে প্রথম অশান্তি হয় ওয়ারিয়া স্টেশনে। ট্রেনটি দুর্গাপুর স্টেশন পেরিয়ে ওয়ারিয়া স্টেশনে এসে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল। যাত্রীদের অভিযোগ, তখন ট্রেনের চালক ও গার্ডকে জানিয়ে স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁরা। সেখানে তাঁরা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, ট্রেনটি ওয়ারিয়া ছেড়ে চলে যায়। ওই যাত্রীরা শিয়ালদহ-বারাউনি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ধরে অন্ডাল পৌঁছন। ততক্ষণে সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যাত্রীদের না নিয়েই কেন ছেড়ে দিল ট্রেন, সে নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে চাননি।
অন্ডালের বাসিন্দা ওই ট্রেনের নিত্যযাত্রী তরুণ সাধুর অভিযোগ, “ট্রেনের ভাড়া বাড়লেও পরিষেবার মান বাড়েনি। ট্রেন যখন ঢুকতে দেরি করছে তখনই স্টেশনে বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত হয়।” নিত্যযাত্রীদের একাংশ আবার জানান, তাঁরা এই দাবির সঙ্গে সহমত। কিন্তু, অবরোধ করে সমস্যার সমাধান হয় না। তাতে আরও অনেক যাত্রী হয়রানির শিকার হলেন।
রেলের আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক বিশ্বনাথ মুর্মু বলেন, “এ দিন বর্ধমান-পুরুলিয়া ফাস্ট প্যাসেঞ্জারের পিছনেই আসছিল পূর্বা এক্সপ্রেস। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও এক্সপ্রেস ট্রেন এক সময়ে থাকলে এক্সপ্রেস ট্রেনকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এ দিন তা-ই করা হয়েছিল।” ওই ট্রেনটি প্রতি দিনই দেরি করে আসে, এ কথা মানেনি রেল। তবে বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “যাত্রীরা যখন এমন অভিযোগে রেল অবরোধ করেছেন, তখন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy