অনেক টালবাহানার পরে দুর্গাপুরের নডিহা হাইস্কুলে কয়েক মাস আগে শুরু হয়েছিল মিড-ডে মিল। কিন্তু দিন পনেরো পরেই ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে তা। ক্ষুদ্ধ মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন।
দেশের সব শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, প্রাথমিক স্কুল থেকে হাইস্কুলে পড়ুয়াদের খাওয়ার জন্য মিড ডে মিল চালুর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে রান্নার জায়গার অভাব-সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি স্কুল রান্না শুরু করতে রাজি হয়নি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার পরে মহকুমার প্রায় সব স্কুলেই মিড ডে মিল শুরু হয়। ব্যতিক্রম শুধু নডিহা হাইস্কুল।
ওই স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষক ও সহ-শিক্ষকদের মতভেদেই এখনও শুরু করা যায়নি এই প্রকল্পটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহ শিক্ষক বলেন, “প্রধান শিক্ষক বলেছিলেন মিড ডে মিলের সব দায়িত্বই সহ শিক্ষকদের নিতে হবে। আমরা প্রধান শিক্ষককে কিছু দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেছিলাম। সেই টানাপড়েনে প্রকল্পটিই চালু করা যায়নি। ফলে বঞ্চিত হচ্ছে পড়ুয়ারা।” শিক্ষকদের একাংশের দাবি, আর্থিক দায়িত্ব বাদ দিয়ে তাঁরা মিড-ডে মিলের অন্য দায়িত্ব নিতে রাজি রয়েছেন। এই মর্মে আদালতে আবেদনও জানানো হয়েছে। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্মলকুমার ভট্টাচার্যও দাবি করেন, “প্রধান শিক্ষককে মিড-ডে মিল চালুর কথা বললে তিনি জানান, সহ শিক্ষকেরা দায়িত্ব নিচ্ছেন না। কিন্তু কাজ তো করবে রাঁধুনিরা। তাহলে চালু না করার কী আছে?” যদিও প্রধান শিক্ষক গৌতম চক্রবর্তীর দাবি, “জায়গার অভাবে এই প্রকল্প চালু হয়নি।”
স্কুল সূত্রে খবর, এখ প্রায় ৭০০ পড়ুয়া মিড-ডে মিল পাওয়ার যোগ্য। বেশির ভাগ পড়ুয়াই দরিদ্র পরিবারের। এক অভিভাবক বলেন, “সামান্য কাঠের কাজ করে সংসার চালাই। ছেলে ও মেয়ে মিড-ডে মিল পেলে উপকৃত হতাম।” মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, মাস কয়েক আগে প্রশাসনিক উদ্যোগে ওই স্কুলে মিড ডে মিল চালু হলেও পরে বন্ধ হয়ে যায়। মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত বলেন, “স্কুলের গাফিলতিতে পড়ুয়ারা বঞ্চিত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিড-ডে মিল চালুর ব্যাপারে বৈঠক করব। সেখানে প্রকল্পটি দ্রুত চালু করতে বলা হবে। অন্যথায় আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy