কলেজ কর্তৃপক্ষের চালু করা পোশাক বিধি অগ্রাহ্য করায় ৩০জন ছাত্রকে কলেজের বাইরে রেখে গেট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে বর্ধমানের তালির একটি বেসরকারি বিএড কলেজে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহের পরিদর্শক দেবকুমার পাঁজা, ডেপুটি আইসি সুজিতকুমার চৌধুরী-সহ চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি নেতারা।
গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রদের দাবি, এ দিন তাঁরা কলেজের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির মধ্যে ভিজলেও ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল এসে চিৎকার ও কলেজের গেটে ধাক্কাধাক্কি করার পরে গেট খোলা হয়। প্রতিনিধি দলের কাছে ছাত্রেরা কলেজে যথেষ্ট সংখ্যক শিক্ষক নেই ও নানা ভাবে টাকা আদায়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলটি ভেতরে ঢুকে দেখেন, কলেজের অধ্যক্ষ পদে কেউ নেই। এক জনকে মৌখিক ভাবে ওই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কলেজের পরিচালন সমিতির সম্পাদকও গরহাজির ছিলেন এ দিন। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরে কলেজের পরিচালন সমিতির সম্পাদক অনিন্দিতা দাস টেলিফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে জানান, তাঁরা কলেজে পোশাক বিধি বলে কিছু রাখবেন না। পরিকাঠামো সমস্যাগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে। ছাত্রদের বৃষ্টির মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের পিল্টা দাবি, ওই ছাত্রদের বৃষ্টির মধ্যে বাইরে না থেকে কলেজের ভেতরে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কর্তৃপক্ষকে জানান, পোশাক বিধি বাতিল না করলে তাঁরা ভেতরে ঢুকবেন না। কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক কঙ্কন ঘোষাল বলেন, “বেশ কয়েকটি কলেজে ছাত্রেরা নির্দিষ্ট পোশাক পরে আসেন। তাই আমরা এই কলেজে সেটা চালু করতে চেয়েছি।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এ দিন ডেপুটি আইসি সুজিতবাবু কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান যে সমস্ত কলেজে পোশাক বিধি চালু রয়েছে, সেখানে কোনও ছাত্রই তাতে আপত্তি করেননি। কিন্তু তালির এই বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে ৮০ জন ছাত্রের মধ্যে মাত্র ৩ জন ছাত্র নির্দিষ্ট পোশাক পরে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে না জানিয়ে এই পোশাক বিধি চালু করা যায় না বলেও ওই কলেজকে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি নেতা দিপক পাত্র ও আমিরুল হোসেন বলেছেন, “আমরা এর আগে ওই কলেজে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে পোশাক বিধি তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলা। কিন্তু ওঁরা আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে ছাত্রদের বলেন, পোষাক সংক্রান্ত বিধি মেনে ও পোষাকের জন্য অতিরিক্ত টাকা না দিলে তাঁদের বাথরুম পর্যন্ত ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।” কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য টিএমসিপির অভিযোগ মানেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy