Advertisement
২১ মে ২০২৪

প্রশিক্ষিত রক্ষীদের ঢুকতে বাধা

প্রশিক্ষিত বহিরাগত নিরাপত্তারক্ষীদের পরপর দু’দিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তারাবাগ ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিলেন না পুরনো, কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীরা। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানা বিভাগ, ক্যাম্পাস ও হস্টেল পাহারার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৯৩ জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করেন। প্রতিবাদে কিছু দিন আগে পুরনো ১৪০ জন রক্ষী তারাবাগ আবাসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের ঘেরাও করেন। রেজিষ্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায় তাঁদের অন্য বিভাগে কাজ দেওয়ার কথা বলে সাময়িক ক্ষোভ সামাল দিলেও লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান পুরনো রক্ষীরা।

চলছে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।

চলছে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৪ ০০:২৩
Share: Save:

প্রশিক্ষিত বহিরাগত নিরাপত্তারক্ষীদের পরপর দু’দিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তারাবাগ ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিলেন না পুরনো, কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীরা।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানা বিভাগ, ক্যাম্পাস ও হস্টেল পাহারার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৯৩ জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করেন। প্রতিবাদে কিছু দিন আগে পুরনো ১৪০ জন রক্ষী তারাবাগ আবাসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের ঘেরাও করেন। রেজিষ্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায় তাঁদের অন্য বিভাগে কাজ দেওয়ার কথা বলে সাময়িক ক্ষোভ সামাল দিলেও লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান পুরনো রক্ষীরা।

প্রশিক্ষিত নিরাপত্তারক্ষীদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সোমবার। তাঁদের বেশ কয়েক জন বিশ্ববিদ্যালয়ের তারাবাগ আবাসনে নিরাপত্তারক্ষী অফিসে আসেন। কিন্তু আন্দোলনকারী পুরনো রক্ষীরা তাঁদের তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবারও বেশ কয়েক জন নতুন রক্ষী এলেও তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারেননি। তাঁদের তারাবাগে ঢুকতে না দিতে অবস্থান-বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছেন বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলার শেখ বসিরুদ্দিন ওরফে বাদশা ও উপ-পুরপ্রধান খোন্দকার মহম্মদ শাহিদুল্লাহ। সোম ও মঙ্গলবার, দু’দিনই প্রচুর পুলিশ তারাবাগে মোতায়েন থাকলেও, তারা ছিল দর্শকের ভূমিকায়।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, তারাবাগ থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের একটি সমবায় সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ভবনে রক্ষী মোতায়েনের দায়িত্বে রয়েছে। এই সংস্থার সভাপতি শেখ মহসিন ও সম্পাদক জাহাঙ্গির আহমেদ বলেন, “পুলিশ দিয়ে আমাদের আন্দোলন থামানোর চেষ্টা হবে হলে খবর পেয়েছি। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত পুরনো রক্ষীদের কমচ্যুত না করার ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া না হচ্ছে, তত ক্ষণ আমরা আন্দোলন চালাব।” তবে তাঁর দাবি, আন্দোলনের পাশাপাশি তাঁদের নিযুক্ত রক্ষীরা কাজও করছেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রতি বছর নিরাপত্তারক্ষীদের পুনর্নবীকরণ করা হয়। এ বার কিন্তু তা হয়নি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি তৃণমূল সমর্থক কর্মচারী ইউনিয়ন এই আন্দোলন নিয়ে দু’ধরনের অবস্থান নিয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাবন্ধু সমিতির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “ওঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কর্মচারী নন, একটি সমবায় সংস্থার নিযুক্ত। তাই এ ব্যাপারে আমাদের নাক গলানো উচিত নয়।” বর্ধমান ইউনির্ভাসিটি কর্মচারী সমিতির সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবার দাবি, “এই আন্দোলন সমর্থন করছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওঁদের প্রতি অন্যায় করছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি আগেই বলেছি, ১৪০ জনের মধ্যে সাসপেন্ড হওয়া ও বয়সের কারণে বাদ পড়া তিন জনকে ছাড়া সকলকেই অন্য কাজে নিয়োগ করব। ওঁরা যা পারিশ্রমিক পাচ্ছিলেন, তা-ই পাবেন। কিন্তু ওঁরা লিখিত প্রতিশ্রুতি চেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছেন।” তাঁর আরও বক্তব্য, “আমরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই ৯৩ জনকে নিয়োগ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা জায়গায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশের আলোচনাও হয়েছে।” বর্ধমান থানার তরফে জানানো হয়, নিরপত্তারক্ষী সংক্রান্ত সমস্যা দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মেটানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE