Advertisement
০২ মে ২০২৪

পাশের পরেও হস্টেলে ২ নেতা, বিতর্ক দলেই

পাশ করে যাওয়ার পরেও হস্টেলে থেকে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপি-র দুই নেতার বিরুদ্ধে। আর অভিযোগ করেছেন টিএমসিপি-রই আরও চার নেতা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রের ভর্তি নিয়ে টিএমসিপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। এ দিন তা আবারও বেআব্রু হয়ে পড়ল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৪১
Share: Save:

পাশ করে যাওয়ার পরেও হস্টেলে থেকে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপি-র দুই নেতার বিরুদ্ধে। আর অভিযোগ করেছেন টিএমসিপি-রই আরও চার নেতা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রের ভর্তি নিয়ে টিএমসিপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। এ দিন তা আবারও বেআব্রু হয়ে পড়ল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের চার পদাধিকারী-- সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির, সহ-সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক গৌরব দত্ত ও সহকারী সাংস্কৃতিক সম্পাদক ঝন্টু খান বৃহস্পতিবার বেআইনি ভাবে হস্টেলে থাকা নিয়ে অভিযোগ তোলেন। উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত হস্টেল থেকে অবৈধ বসবাসকারীদের সরিয়ে দিতে হবে। বিদায়ী ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সন্তু ঘোষ ও টিএমসিপি-র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট প্রাক্তন সহ-সভাপতি অর্ণবকুমার মণ্ডলের নামেও অভিযোগ জানান তাঁরা।

সহ-সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের দাবি, “নিয়ম অনুযায়ী স্নাতকোত্তর স্তরে লেখাপড়া করার সময় কোনও ছাত্র বা ছাত্রী হস্টেলের আবাসিক হিসেবে থাকতে পারবেন। পরে পরীক্ষায় পাশ করে গেলে তাঁদের হস্টেল ছেড়ে দিতে হয়। কিন্তু ওই দুই বহিরাগত ছাত্র নেতা প্রভাব খাটিয়ে এক জন অরবিন্দ ছাত্রাবাস ও অন্য জন নেতাজি ছাত্রাবাসে রয়েছেন। তাঁদের দেখাদেখি আরও অনেক স্নাতকোত্তর ছাত্রও বিভিন্ন হস্টেলে রয়ে গিয়েছেন। অথচ হস্টেলগুলিতে সিট ফাঁকা না থাকায় সাধারণ ছাত্রদের মোটা অঙ্কের টাকা গুনে বাইরে মেসে থাকতে হচ্ছে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপির ইউনিট সভাপতি দীপক পাত্রও বলেন, “ওই দু’জন গবেষনা করেন বলে দাবি করে হস্টেলে রয়েছেন। কিন্তু গবেষকদের জন্য তো আলাদা হস্টেল রয়েছে। তাঁরা কেন সেখানে যাচ্ছেন না?”

তবে সন্তু ঘোষের দাবি, “আমার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ মিথ্যে। আমাকে হেয় করার চেষ্টা হচ্ছে। আমি মেসেই থাকি। মাঝেমাঝে অবশ্য হস্টেলে আসি । দু’একদিন থেকেও যেতে হয়। কিন্তু সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের বাইরে নয়।” তাঁর দাবি, নিয়মেই রয়েছে যে হস্টেলের আবাসিক কোন ছাত্রের অতিথি হয়ে অন্য কোনও ছাত্র থাকতে পারেন। অর্ণব মণ্ডলও বলেন, “আমি গবেষকদের হস্টেলে থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু সিট খালি না থাকায় আমি বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি নিয়ে নেতাজি হস্টেলে রয়েছি।”

ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, “আমি শুনেছি ওই দুজন আবাসিক ছাত্রের অতিথি হিসেবে থাকেন। নিয়মের কোনও লঙ্ঘন তাতে হয়নি। তবে সেখানে ওঁরা খাওয়াদওয়া করছেন কি না তা দেখার দায়িত্ব মেস কমিটির।”

আর হস্টেলের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক ভূবনেশ্বর গড়াই বলেন, “ওই দু’জনের নাম কিন্তু আবাসিকের তালিকায় নেই। কি করে ওঁরা ওই দুটি হস্টেলে থাকেন তা খতিয়ে দেখা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tmcp burdwan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE