Advertisement
E-Paper

বেতন মেলেনি, শিক্ষিকারা পরীক্ষা না নেওয়ায় অশান্তি

বেতন মেলেনি, এই অভিযোগে শিক্ষিকারা পরীক্ষা নিতে অস্বীকার করায় গোলমাল পাকল আসানসোলের মনিমালা হাইস্কুলে। অভিভাবকেরা ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন। কয়েক জন স্কুলে ঢুকে ভাঙচুরও করেন বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা নেওয়া হবে জানানোর পরে বিক্ষোভ থামে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:১৪
টানাহ্যাঁচড়া প্রধান শিক্ষিকাকে। আসানসোলের স্কুলে। —নিজস্ব চিত্র।

টানাহ্যাঁচড়া প্রধান শিক্ষিকাকে। আসানসোলের স্কুলে। —নিজস্ব চিত্র।

বেতন মেলেনি, এই অভিযোগে শিক্ষিকারা পরীক্ষা নিতে অস্বীকার করায় গোলমাল পাকল আসানসোলের মনিমালা হাইস্কুলে। অভিভাবকেরা ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন। কয়েক জন স্কুলে ঢুকে ভাঙচুরও করেন বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা নেওয়া হবে জানানোর পরে বিক্ষোভ থামে।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষিকারা দু’মাস ধরে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। প্রতিবাদে তাঁরা মঙ্গলবার পরীক্ষা নিতে অস্বীকার করেন। এ দিন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা ছিল। পড়ুয়ারা ক্লাসরুমে পৌঁছে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু শিক্ষিকারা আসেননি। বেশ কিছুক্ষণ পরে বাইরে অপেক্ষারত অভিভাবকেরা বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা স্কুলে ঢুকে ওই শিক্ষিকাদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আবেদন জানান। কিন্তু শিক্ষিকারা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।

এর পরেই অভিভাবকদের একাংশ চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। স্কুলের সামনে এসবি গড়াই রোড অবরোধ করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি বুঝে স্কুল কর্তৃপক্ষ তরফে বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তার পরেই বিক্ষোভ থামে।

কেন শিক্ষিকারা বেতন পাননি, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক অসিত রায় দাবি করেন, “শিক্ষিকাদের বেতনের বিল তৈরি করার কথা প্রধান শিক্ষিকার। তিনি ঠিক নিয়ম মেনে বিল বানিয়ে সহকারী জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে জমা দেননি। সে কারণেই শিক্ষিকাদের বেতন আটকে গিয়েছে। আমরা প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ম মেনে ফের একটি নতুন বিল বানাতে বলেছিলাম। তিনি শোনেননি।”

আসানসোলের সহকারী স্কুল পরিদর্শক সুরপতি প্রধান বলেন, “ওই প্রধান শিক্ষিকা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বেতনের বিল তৈরি করে আমার দফতরে জমা দিয়েছিলেন। আমরা তাঁকে নিয়ম মেনে বিল জমা দিতে বলেছিলাম। উনি তা করেননি।”

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেন, তৈরি করা নথিতে পরিচালন সমিতির সম্পাদক সই না করায় সমস্যা হয়েছে। এ দিন কিছু অভিভাবক তাঁকে নিগ্রহ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।

বেতন না মেলার প্রতিবাদে পরীক্ষা বয়কট করে পড়ুয়াদের হয়রান কেন করা হল, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি শিক্ষিকারাও। অসিতবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে জানান, ৮ ডিসেম্বর পরিচালন সমিতির বৈঠকে এই বিষয়ে বিশদে আলোচনা হবে। প্রয়োজন মতো বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। বিষয়টি সবিস্তারে খোঁজ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আসানসোলের সহকারী স্কুল পরিদর্শক সুরপতিবাবুও।

salary manimala high school headteacher beaten headteacher harassed harassed
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy