ভাঙাচোরা। —নিজস্ব চিত্র।
কোথাও জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছে। আবার কোথাও দেওয়াল থেকে খসে পড়েছে চাঁই। দুর্গন্ধ ও আবর্জনায় ভরে গিয়েছে চারপাশ। অবাধে চলছে বেআইনি গাড়ি পার্কিং। এই অবস্থাতেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে দুর্গাপুর আদালত। সমস্যায় পড়েছেন আদালতে চত্বরে আসা সাধারণ মানুষ, সরকারি কর্মী ও আইনজীবীরা।
দুর্গাপুর আদালত চত্বরে আদালত ছাড়াও রয়েছে মহকুমাশাসকের কার্যালয়, ডাকঘর, পরিবহণ দফতর-সহ কয়েকটি সরকারি দফতর। প্রতি দিন বিভিন্ন প্রয়োজনে এখানে প্রচুর মানুষ আসেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই আদালত চত্বরের বিভিন্ন বাড়ির পরিকাঠামো বেহাল। আদালত চত্বরে গিয়ে দেখা গিয়েছে, আসামীদের যে রাস্তা দিয়ে আদালতে নিয়ে আসা হয়, তার পাশে আদালতের কয়েকটি জানলা ভেঙে গিয়েছে। কয়েকটি বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে। যে কোনও সময়ে সেগুলি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু তাই নয়, জানলা ভাঙা থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই আদালত ভবনের ভিতরে জল ঢুকে যায়। ফলে যে কোনও সময়ে জলে ভিজে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সমস্যা রয়েছে আরও। আদালত চত্বরের বাইরের দিকে একটি নিকাশি নালা খোলা অবস্থায় থাকায় মল-সহ বিভিন্ন আবর্জনা নালার মধ্যের ভেসে বেরায়।
পরিকাঠামোগত সমস্যা ছাড়াও রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের সমস্যা। কাজের সময়ে আদালত চত্বরের সামনে থেকে পিছনে, সর্বত্রই সারি দিয়ে মোটরবাইক দাঁড় করানো থাকে। ফলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যা হয়। অনেক সময়ে মোটরবাইকের চাপে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করাই যায় না। আদালত চত্বরে বিভিন্ন কাজে আসা লোকজনের অভিযোগ, বিচারপ্রার্থীদের দাঁড়াবার জায়গার অবস্থাও ভাল নয়। ফলে তাঁদের বেশির ভাগ সময়েই রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ের মধ্যে রাস্তাতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েন মহিলারা। তৃণমূলের আইনজীবী সেলের দুর্গাপুর আদালত শাখার সভাপতি দেবব্রত সাঁই বলেন, “শুধু আদালত ভবনেরই নয়, আদালত চত্বরে থাকা অন্য সরকারি দফতরের পরিকাঠামোও খারাপ। আমরা বর্তমান রাজ্য সরকারের কাছে এই সমস্যা সমাধানের আবেদন করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy