বিধানসভা ভোটের আগে দলের কর্মীদের বিভিন্ন মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন সিপিএম নেতৃত্ব। পুলিশ-প্রশাসন শাসক দলের কথামতো কাজ করছে অভিযোগে ও পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধের দাবিতে বুধবার দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় সিপিএম।
সিপিএমের পূর্ব ২ জোনাল কমিটির তরফে অভিযোগ করা হয়, দলের মোট ১৮৯ কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে নিউটাউনশিপ থানা এলাকায় ৩৭টি ও কোকওভেন থানা এলাকায় ৭টি মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৮ জনকে। শুধু তাই নয়, এলাকায় দলের ১৯টি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ১৪টি বাড়িতে লুঠপাট চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। সিপিএমের দাবি, তাদের ৪৩ জন কর্মী-সমর্থক এখন ঘরছাড়া।
শাসক দলের বিরুদ্ধে বারবার সিপিএম কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি সিপিএমের। উল্টে, বাম কর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। দলের ওই জোনালের সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, ‘‘আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১০৭ ও ১১৬ ধারায় সমন জারি করা হচ্ছে। বাদ যাননি পুরসভার বিরোধী দলনেতাও। আমাদের ভয় দেখিয়ে ভোট প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই এমন করা হচ্ছে।’’
দুর্গাপুর ২ পশ্চিম জোনাল কমিটির তরফে মহাব্রত কুণ্ডু অভিযোগ করেন, বেনাচিতিতে দলের ৮টি অফিস শাসক দল দখল করে নিয়েছে। দুর্গাপুরে মহম্মদ সেলিমের জনসভায় যাওয়ার জন্য এক কর্মীকে মারধর করা হয়। ওই ঘটনায় দলের পাঁচ কর্মীর বিরুদ্ধে তৃণমূল মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করলেও মারধরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। আরও অভিযোগ, ২৮ জানুয়ারি জেলাশাসকের দফতরে অবস্থান-বিক্ষোভে যোগ দেওয়ায় বেনাচিতি শ্রীনগরপল্লি এলাকায় মহিলা কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হয়। মহাব্রতবাবুর বক্তব্য, ‘‘আক্রান্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অথচ, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন অবাধে।’’
মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত জানান, সিপিএমের অভিযোগ পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দুর্গাপুরের তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘সিপিএম পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে মিথ্যে অভিযোগে ভর করে দাঁড়াতে চাইছে। মানুষ সত্যিটা জানেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy