Advertisement
১৮ মে ২০২৪

লড়াই কঠিন, তবু মাটি আঁকড়েই পড়ে চন্দনা

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই দলে রক্তক্ষরণ অব্যাহত। ব্লক, অঞ্চলের অনেক নেতা-কর্মীই নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলে। সংগঠন টিকিয়ে রাখাটাই সমস্যার। তবে তার মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে লড়াই দিতে তৈরি দল। সোমবার মেমারি ও জামালপুরে দলীয় প্রার্থী চন্দনা মাঝিকে নিয়ে দলের মিছিল থেকে সেই বার্তাই দিলেন জেলা ও ব্লক কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।

মেমারিতে কংগ্রেস প্রার্থী চন্দনা মাঝি। —নিজস্ব চিত্র।

মেমারিতে কংগ্রেস প্রার্থী চন্দনা মাঝি। —নিজস্ব চিত্র।

রানা সেনগুপ্ত
মেমারি শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৩২
Share: Save:

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই দলে রক্তক্ষরণ অব্যাহত। ব্লক, অঞ্চলের অনেক নেতা-কর্মীই নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলে। সংগঠন টিকিয়ে রাখাটাই সমস্যার। তবে তার মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে লড়াই দিতে তৈরি দল। সোমবার মেমারি ও জামালপুরে দলীয় প্রার্থী চন্দনা মাঝিকে নিয়ে দলের মিছিল থেকে সেই বার্তাই দিলেন জেলা ও ব্লক কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।

প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন কাটোয়া পুরসভায় কংগ্রেস কাউন্সিলার চন্দনাদেবী। তবে, জামালপুর ও মেমারিতে এ দিনই প্রথম প্রচারে এলেন তিনি। সোমবার সকালে পদযাত্রা ও কর্মীসভা হয় জামালপুরে। বিকেলে কর্মীসভা ও পদযাত্রা হয় মেমারিতে। দু’জায়গাতেই উদ্বোধন হয় দলীয় নির্বাচনী কার্যালয়ের। উপস্থিত ছিলেন কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, মেমারির প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক নবকুমার চট্টোপাধ্যায়, এআইসিসির সদস্য সেলিম মোল্লা, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মীর পারভেজ, সিরাজুল মনির, আব্দুল হাকিম-সহ অনেক কংগ্রেস নেতা-কর্মী। এআইসিসি সদস্য সেলিম মোল্লা বলেন, “কর্মীসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে দলের প্রার্থী প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় অন্তত চার বার করে যাবেন। সংগঠনকে টিকিয়ে রাখতে এলাকায় গিয়ে প্রচার করাটা খুব দরকার।”

সংগঠনের অবস্থা যে ভাল নয় তা স্বীকার করছেন প্রার্থী নিজেও। চন্দনা দেবী বলেন, “দলের অনেক নেতাই তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। তাই ভোট প্রচারে সাংগাঠনিক সমস্যা রয়েছে তো বটেই।” একই সঙ্গে তাঁর দাবি, “প্রতিটি বুথেই আমাদের এজেন্ট থাকবে। বাইরে থাকবেন দলের কর্মীরা। কারণ, কংগ্রেস কর্মীরা যেটা করেন সেটা দলকে ভালবেসে করেন।” প্রচারে গিয়ে বর্ধমানের কংগ্রেস নেতারা দাবি করছেন, একমাত্র তাদের দলই কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার গড়তে পারবে। উঠে আসছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথাও। চন্দনাদেবীর দাবি, “১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ, তৃণমূলের নেতারা বলেন, ওঁরাই নাকি এই টাকার ব্যবস্থা করেছেন।” জেলা কংগ্রেস নেতা ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, এত দিন মাইক ব্যবহারের অনুমতি না থাকায় কর্মিসভার উপরেই জোর দিয়েছি। এ বার থেকে প্রকাশ্য সভায় জোর দেওয়া হবে।

সংগঠনের ফাঁক-ফোকর স্বীকার করে নিয়েই বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে কংগ্রেস। কিন্তু পাশের কেন্দ্র বর্ধমান-দুর্গাপুরের কংগ্রেস কর্মীদের গ্রাস করছে হতাশা। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে বিপিন ভোরার নাম ঘোষণা করে দেওয়াল লিখন ও কর্মিসভা শুরু হয়ে গেলেও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিপিনবাবু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সোমবার রাত পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস নেতা কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের আক্ষেপ, “নির্বাচনে হারা-জেতাটা বড় কথা নয়। দলের কাছে এটা রাজনৈতিক লড়াই। তাই ভোটের মুখে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে খারাপ লাগছে।” জেলা কংগ্রেস গ্রামীণের সভাপতি আভাস ভট্টাচার্যের আশ্বাস, “আজ-কালের মধ্যেই এআইসিসি ওই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rana sengupta memari chandana majhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE