এই প্রথম জেলায় শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব ১৪ বাস্কেটবল লিগ। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই লিগে যোগ দিচ্ছে মোট ৬টি দল। সেগুলি হল জাতীয় সঙ্ঘ,কল্যান স্মৃতি সঙ্ঘ, অগ্রদূত সঙ্ঘ, মিলনী সঙ্ঘ, সিএমএস স্পোর্টস ক্লাব ও বিনোদীমাধব সামন্তর কোচিং ক্লাব। এখনও পর্যন্ত যে খেলাগুলি হয়েছে সেখানে অগ্রদূত সঙ্ঘ ৩৯-১৯ পয়েন্টে জাতীয় সঙ্ঘকে, সিএমএস ৬১-২৯ পয়েন্টে মিলনীকে, বিনোদীমাধব ২৬-২২ পয়েন্টে অগ্রদূতকে, মিলনী ৩১-২৭ পয়েন্টে জাতীয় সঙ্ঘকে, সিএমএস ৪২-৩৫ পয়েন্টে কল্যানকে, অগ্রদূত ৫৭-৩২ পয়েন্টে কল্যানকে, ও বিনোদীমাধব ৩০-২২ পয়েন্টে জাতীয় সঙ্ঘকে হারিয়েছে। এই লিগে পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছে বিনোদীমাধব ও সিএমএস।
জেলা ক্রীড়া সূত্রে জানানো হয়েছে, জেলার প্রথম ডিভিশন বাস্কেটবল লিগে ১৪ বছরের কম বয়সী কারওকে খেলানোর নিয়ম নেই। তাই বিভিন্ন বাস্কেটবল প্রশিক্ষন শিবিরে যোগ দেওয়া ১৪ বছরের কমবয়সী ছেলেরা কার্যত না খেলার সুযোগ পেয়ে বসে থাকছে। এই খুদে বাস্কেটবলাররা যাতে ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকেই তৈরি হতে পারেন, তাই এই লিগ শুরু হয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি দলেই রয়েছেন ১২জন করে খুদে খেলোয়াড়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিটি খেলোয়াড়কেই প্রতি ম্যাচে অন্তত ১০ মিনিট করে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লিগে অংশগ্রহণকারী দল অগ্রদূত সঙ্ঘের কর্তা বিবেকানন্দ সেন বলেন, “এই লিগ খেলার সুযোগ পেয়ে ছেলেরা উৎসাহিত হতে পারছে। নিয়মিত প্র্যাকটিসও করতে পারছে।” একই মত জানিয়ে মিলনী সঙ্ঘের কর্তা রাজীব চৌধুরী জানান, এই লিগ শুরু হওয়ার ফলে প্রচুর নতুন ছেলে বাস্কেটবলের প্রশিক্ষণ নিতে আসছে। বিনোদীমাধবের শ্রীগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নতুন ছেলে আসার সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের একটার বদলে হয়ত দু’টি হাসপাতাল তৈরি করতে হবে।” জাতীয় সংঘের কর্তা সুশান্ত চৌধুরী জানান, “আমরা বছর তিনেক আগে খুদে বাস্কেটবলারদের বড়দের সঙ্গে খেলতে নামাচ্ছিলাম। পরে এতে তারা আহত হতে পারত। খুদেদের নিয়েই লিগ শুরু হওয়ায় এ বার চোটের সম্ভবনা অনেক কম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy