স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ উঠল মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআর-এর বিরুদ্ধে। রানিগঞ্জের বিএমওএইচ সোমনাথ দাস থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
আলুগড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই সংগঠনের জনা তিরিশ সদস্য হঠাৎ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢোকেন। অভিযোগ, তাঁরা কর্মীদের নানা অবান্তর প্রশ্ন করতে থাকেন। এর পরে ওই যুবকেরা আবার মহিলা বিভাগ ও মহিলা কর্মীদের কক্ষে ঢুকে ছবি তুলতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে এক জন কেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুল্যান্স নেই জানতে চাইলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক কর্তা জানান, রাজ্য সরকার এর ব্যবস্থা করছে। এ কথা শুনে ওই সংগঠনের এক সদস্য সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী একটি অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া সত্ত্বেও ব্যবহার করা হচ্ছে না দাবি করে নানা হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এর পরে তাঁরা ফিরে চলে যান।
এ প্রসঙ্গে রানিগঞ্জে তৃণমূলের একমাত্র কাউন্সিলর হেনা খাতুন অভিযোগ করেন, সিপিএম ভোটের আগে প্ররোচনা দিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে। প্রশাসনকে তাঁরা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা রুখতে হবে। কারণ, এর জেরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।
ওই মানবাধিকার সংগঠনের সম্পাদক দর্শন সিংহ অবশ্য দাবি করেন, তাঁরা বিএমওএইচ-কে সাত দিন আগেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের পরিষেবা সম্পর্কে জানতে যাবেন। এ প্রস্তাবে সম্মতিও দিয়েছিলেন বিএমওএইচ। তিনি বলেন, “এ দিন আমরা কোনও দুর্ব্যবহার আমরা করিনি। আমাদের গাড়ির নম্বার লিখে রাখছিলেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক কর্তা। তিনি কেন এমন করছেন জানতে চাইলে আমাদের সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এর পরে আর কথা না বাড়িয়ে আমরা সেখান থেকে চলে আসি। পরে জানতে পারি, আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।” বংশগোপালবাবুর নাম ব্যবহারই করা হয়নি বলে দাবি তাঁর।
আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস বলেন, “এ ভাবে পরিদর্শনে যাওয়ার এক্তিয়ার ওই মানবাধিকার সংগঠনের আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy