Advertisement
১১ মে ২০২৪

চার জেলা থেকে বাহিনী সরানোর আশঙ্কা রাজ্যের

প্রশাসনিক মহলের অনুমান, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়িত্বের প্রশ্নকে ঘিরে নতুন করে কেন্দ্র-রাজ্য চাপান-উতোর শুরু হতে চলেছে।

লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়িত্বের প্রশ্নকে ঘিরে নতুন করে কেন্দ্র-রাজ্য চাপান-উতোর শুরু হতে চলেছে।

লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়িত্বের প্রশ্নকে ঘিরে নতুন করে কেন্দ্র-রাজ্য চাপান-উতোর শুরু হতে চলেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৮ ০৫:৫০
Share: Save:

ইদানীং মাওবাদী সক্রিয়তার প্রমাণ না-মিললেও নিরাপত্তার তাগিদেই রাজ্য সরকার চায়, বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার মতো জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
থাকুক। সেখান থেকে আধাসেনা প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত যাতে নেওয়া না-হয়, সেই মর্মেই আবেদন জানিয়েছিল তারা। কিন্তু কেন্দ্র সেই আর্জি মানছে না। ফলে অচিরেই ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী হাতছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য।

প্রশাসনিক মহলের অনুমান, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়িত্বের প্রশ্নকে ঘিরে নতুন করে কেন্দ্র-রাজ্য চাপান-উতোর শুরু হতে চলেছে। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য কেন্দ্রকে ফের অনুরোধও করতে পারে রাজ্য।

দিল্লি প্রশাসন সূত্রের খবর, কেন্দ্র সম্প্রতি রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর বা বীরভূমকে কোনও ভাবেই এসআরই (সিকিওরিটি রিলেটেড এক্সপেন্ডিচার) জেলার তালিকায় রাখা যাবে না। রাজ্যের আধিকারিক শিবিরের আশঙ্কা, ওই চার জেলায় মোতায়েন ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভবিষ্যতে ফিরিয়ে নিতে পারে কেন্দ্র। অনেকে মনে করছেন, এটা কেন্দ্রের ‘পরিকল্পিত’ সিদ্ধান্ত।

এসআরই-র প্রশাসনিক ব্যাখ্যা এই রকম: মাওবাদী সমস্যার জন্য নির্দিষ্ট কিছু জেলাকে এসআরই তালিকায় রাখা হয়। সেই জেলাগুলি আধাসেনা ছাড়াও নিরাপত্তা পরিকাঠামোর উন্নয়নে নানা ধরনের কেন্দ্রীয় অনুদান পেয়ে থাকে।

গত ৭ মার্চ মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের প্রশাসনিক বৈঠক হয়। উদ্দেশ্য, মাওবাদীদের গতিবিধি বা তৎপরতার গুরুত্ব যাচাই করে এসআরই তালিকা পরিমার্জন করা। যে-হেতু রাজ্যের উল্লিখিত জেলাগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে কোনও মাওবাদী তৎপরতা বা নাশকতার ঘটনা ঘটেনি, তাই সেগুলিকে ওই তালিকা থেকে বাদ দিতে চেয়েছিল কেন্দ্র। রাজ্য তাতে আপত্তি জানায়। তাদের বক্তব্য, ঝাড়গ্রাম (পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে নতুন জেলা) এবং পুরুলিয়াকে এসআরই তালিকায় রেখে দেওয়া হোক। বাঁকুড়াকে অন্তত এক বছর এই সুবিধা দেওয়া হোক। তবে পশ্চিম মেদিনীপুর বা বীরভূমকে তালিকা থেকে বাদ দিলে আপত্তি ছিল না রাজ্যের। কেন্দ্র সম্প্রতি জানিয়েছে, শুধু ঝাড়গ্রামই থেকে যাবে এসআরই তালিকায়।

পুলিশকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, মাওবাদী-সমস্যার জন্য মোট ৩৬ কোম্পানির মধ্যে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বীরভূমে রয়েছে ১৯ কোম্পানি এবং এক প্ল্যাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। তালিকার বাইরে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই সব এলাকা থেকে ধীরে ধীরে বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে কেন্দ্র। শেষ পর্যন্ত তা হলে লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই এলাকাগুলির সুরক্ষা নিয়ে রাজ্যের চিন্তা বাড়বে। এই পরিস্থিতিতেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফের কেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE