Advertisement
E-Paper

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদের হাইকোর্টে যেতেই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

মনোনয়ন পেশ করার দিন বাড়ানোর পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ফের সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করায় তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৮ ২০:০৮

রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপি-সহ বাম দলগুলিকে এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত।

বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সর্বোচ্চ আদালত নয়, বরং পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের রায় নেবে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে হাইকোর্টে যেতে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি আর কে অগ্রবাল এবং বিচারপতি অভয় মনোহর সাপ্রের বেঞ্চ। পাশাপাশি, মনোনয়ন পেশ করার দিন বাড়ানোর পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ফের সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করায় তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

সোমবার রাতেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে মনোনয়নের দিন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সিংহ। পরের দিন সকাল ১১টা থেকে ফের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ওই নির্দেশ অনুযায়ী মনোনয়ন শুরু হওয়ার আগেই মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তা প্রত্যাহার করে নেন কমিশনার। মনোনয়নের দিন আর বাড়ানো হচ্ছে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। এর পর তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের চাপে পড়েই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কমিশন। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেন। তবে এ নিয়ে কমিশনের দাবি, আদালতের ওই স্থগিতাদেশের নির্দেশ কমিশনের হাতে এসে পৌঁছয় মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল বিকেল ৩টের পর। তত ক্ষণে মনোনয়নের নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে, কমিশন আর মনোনয়নের সময় বাড়াবে না। এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য বিজেপি। সর্বোচ্চ আদালতে তারা জানায়, মনোনয়ন জমা দিতে রাজ্য জুড়েই বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের প্রার্থীদের। পাশাপাশি, মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ানোরও আবেদন করে তারা।

আরও পড়ুন
‘দুর্দিন’ নিয়ে সরব শাসকের সে দিনের সঙ্গী বিদ্বজ্জনেরাও

এ দিন দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে বামেদের পাশাপাশি বিজেপি-র ওই মামলার শুনানি হয়। বাম দলগুলির তরফে আবেদন করা হয়, মনোনয়ন নিয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক। পাশাপাশি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। তবে, সুপ্রিম কোর্ট দু’পক্ষকেই জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

আরও পড়ুন
বিজেপি-র বিরুদ্ধে এ বার আদালতে তৃণমূলের কল্যাণ

এ দিনের রায়ের পর সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। সেটা বজায় থাকলে ভাল। তবে তা নিয়ে হাইকোর্ট রায় বদলালে আমরা ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হব। প্রাথমিক ভাবে সুপ্রিম কোর্ট চাইছে, প়ঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন পিছনোর বিষয়েও কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি হবে।” বিরোধী দলকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, “২০০৮ সালে আমরা ৩৫ হাজার মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছিলাম। অথচ, দিন কয়েক আগেই রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষই স্বীকার করেছেন, তারা ৪০ হাজার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।”

Supreme Court of India West Bengal Panchayat Elections 2018 Calcutta High Court BJP TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy