শক্তিতে বিরোধীরা পিছিয়ে। পঞ্চায়েতের তিনস্তরেই এখন প্রত্যাহারের লড়াই তৃণমূলের নিজের ঘরে। দলের ‘গোঁজ’ প্রার্থী প্রত্যাহারের এই পর্বকে কার্যত ‘যুদ্ধ’ বলে মনে করছেন দলীয় নেতৃত্ব। কারণ দীর্ঘ প্রস্তুতি সত্ত্বেও অতিরিক্ত প্রায় ১৪ হাজার মনোনয়ন প্রত্যাহার নিয়ে নিশ্চিত নন তাঁরা।
দলের এই অতিরিক্ত প্রার্থী প্রত্যাহার করতে না পারলে কী ফারাক হতে পারে, তার চেয়েও বড় ভাবনা নির্বাচনের আগে অন্তর্দলীয় বিরোধের আশঙ্কা নিয়ে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রত্যাশী অনেক আছেন। কিন্তু প্রতীক যাকে দেওয়া হবে, দলের প্রার্থী তিনিই। এটা মনে রাখতে হবে।’’ এই পরিস্থিতিকে ‘কাজে’ লাগাতে চাইছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘যেখানে আমরা নেই সেখানে নির্দলদের সমর্থন করব।’’
‘গোঁজ’ মোকাবিলায় একাধিক কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। তিনস্তরে প্রত্যাশী একাংশকে স্থানীয়স্তরেই ‘বাবা-বাছা’ করে প্রত্যাহারে রাজি করানোর কাজ চলছে। পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় প্রতীক বিলির পরেও ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রশমিত নয়। শুধু তাই নয়, কিছু জায়গায় একই আসনে একাধিক প্রতীক জমা পড়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে দলীয় পদাধিকারীর চিঠি মারফৎ একজনের প্রতীক বাতিল করার প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে। সব জেলার দলীয় পর্যবেক্ষকদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
প্রথমপর্বের মনোনয়নে ১৩ হাজারের বেশি অতিরিক্ত প্রার্থী ছিল তৃণমূলের। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরিয়ে আনতে তাঁদের একাংশের সঙ্গে নানাস্তরে আলোচনাও শুরু হয়। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া আদালতে পৌঁছে যাওয়ায় সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশে কমিশন নতুন করে মনোনয়ন জমা নেওয়ায় তৃণমূলের অতিরিক্ত প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে আরও প্রায় ৮০০। জেলা পরিষদস্তরে তৃণমূলের এই নির্দলের সমস্যা সব থেকে বেশি পুরুলিয়ায়। এখানে ৩৮ আসনে ৮১ প্রার্থী রয়েছে শাসকদলের। তারপর হুগলির ৫০ আসনে রয়েছেন ৭২ জন। পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়েও চিন্তায় রয়েছে বেশ কয়েকটি জেলার নেতারা।
এই নির্দল প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে নিজেদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে? তৃণমূলের এক নেতার মন্তব্য, ‘‘নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জিতলে তিনি তো তৃণমূলেরই। তাই চিন্তার কী আছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy