Advertisement
E-Paper

জামাত, অনুপ্রবেশ নয়া অস্ত্র বিজেপির

বর্ধমান-কাণ্ডের জেরে শাসক দলের গায়ে দেশদ্রোহীর তকমা লাগিয়েছে বিরোধীরা। ওই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই জামাত-যোগ নতুন করে আক্রমণ শানাতে সুযোগ পেল বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার। ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে নতুন করে পাওয়া হাতিয়ার ব্যবহারে তাঁরা যে পিছপা হবেন না, তারই ইঙ্গিত মিলছে বিজেপি নেতাদের বক্তব্য এবং সঙ্ঘের কার্যক্রমে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৫৫

বর্ধমান-কাণ্ডের জেরে শাসক দলের গায়ে দেশদ্রোহীর তকমা লাগিয়েছে বিরোধীরা। ওই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই জামাত-যোগ নতুন করে আক্রমণ শানাতে সুযোগ পেল বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার।

ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে নতুন করে পাওয়া হাতিয়ার ব্যবহারে তাঁরা যে পিছপা হবেন না, তারই ইঙ্গিত মিলছে বিজেপি নেতাদের বক্তব্য এবং সঙ্ঘের কার্যক্রমে। রবিবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেছেন, “তৃণমূল জামাতের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পশ্চিমবঙ্গকে তাদের লিজ দিয়েছে!”

তৃণমূলের উঁচু তলার নেতাদের দোষারোপ করে রাহুলবাবুর আরও মন্তব্য, “সারদা-কাণ্ডে যেমন জামাতের ছায়া ছিল, তেমনই বর্ধমানের ঘটনায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, জামাতের ছায়া সুস্পষ্ট ভাবে দেখতে পাচ্ছি।” মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীরের অপসারণের সঙ্গেও জামাত-যোগের ছায়া দেখছেন রাহুলবাবু। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতা অবশ্য বলেছেন, “এ সব অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে বিজেপি নেতারা সুবিধা করতে পারবেন না।”

চাপে পড়ে তৃণমূল কেন্দ্রের দিকে তোপ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা পেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে আরএসএস-ও। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের নিয়ে তাঁতিবেড়িয়ায় আরএসএসের ৭ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরেও বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অনুপ্রবেশ নিয়ে আলোচনাসভা হয়েছে। সামাজিক ভাবেও সক্রিয় হচ্ছে তারা। সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে স্থানীয় মানুষ যাতে অনুপ্রবেশকারীদের বাড়ি ভাড়া না দেন বা অন্য কোনও সহযোগিতা না করেন, তার জন্য ওই সব এলাকায় প্রচার চালাবে আরএসএস। সংগঠনের তরফে জিষ্ণু বসু বলেন, “খাগড়াগড় বিস্ফোরণে ধৃত মেয়ে দু’টি বাংলাদেশি নয়, ভারতীয়। জেহাদিরা তাদের জোর করে বিয়ে করেছে। এই ভাবে দু’টি ভারতীয় মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। হিন্দু বা মুসলিম কোনও ভারতীয় যাতে এ ভাবে ফাঁদে না পড়েন, তার জন্য আমরা প্রচার করব।”

ঠিক এই জায়গা থেকেই প্রতিবাদের চেষ্টায় নেমেছে বামফ্রন্ট। দলের পলিটব্যুরো বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার আগে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু এ দিনও বলেছেন, “তৃণমূল নরম সাম্প্রদায়িকতার নীতি নিয়ে চলছে, বিজেপি-ও সেই সুযোগে সাম্প্রদায়িক বিভাজন করতে চাইছে। হিন্দু ও মুসলিম, দু’ধরনের মৌলবাদী শক্তিই সক্রিয় হচ্ছে।”

jamat ul mujahidin bjp trespassing jamaat issue bengla tmc state news rahul sinha vote
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy