Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Shahjahan Sheikh Arrest

শাহজাহানের আবেদনে আমল দিল না আদালত

সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে গোড়া থেকেই কঠোর মনোভাব নিয়েছে হাই কোর্ট। সেই চাপেই রাজ্য পুলিশ প্রায় ৫৫ দিন পরে শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে কার্যত বাধ্য হয়েছিল বলে পুলিশেরই একাংশের অভিমত।

Shahjahan Sheikh

শেখ শাহজাহান। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ০৫:৫৫
Share: Save:

সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানের জামিনের আবেদনে কার্যত আমলই দিলেন না কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম।

শাহজাহানের জামিনের আবেদন যাতে প্রধান বিচারপতির এজলাসে শুনানি হয় তার আবেদন জানান শাহজাহানের আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি জানান, এর জন্য নির্ধারিত ডিভিশন বেঞ্চেই আবেদন করতে হবে। সন্দেশখালিতে শান্তি ফেরাতে প্রশাসনকেও তৎপর হতে বলেছেন তিনি। ৪ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি।

সন্দেশখালিতে ইডি-র উপরে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তবে সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের উপরে শাহজাহান বাহিনীর যে লাগাতার নির্যাতনের অভিযোগ সামনে এসেছে, তা নিয়েও হাই কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে। তার সঙ্গে জুড়েছে তিনটি জনস্বার্থ মামলাও। হাই কোর্ট জানিয়েছে, ওই চারটি মামলার একত্রেই শুনানি হবে।

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে গোড়া থেকেই কঠোর মনোভাব নিয়েছে হাই কোর্ট। সেই চাপেই রাজ্য পুলিশ প্রায় ৫৫ দিন পরে শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে কার্যত বাধ্য হয়েছিল বলে পুলিশেরই একাংশের অভিমত। এ দিনও প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সন্দেশখালিতে বড়সড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।

এ দিন জনস্বার্থ মামলাকারীদের তরফে কোর্টে জানানো হয়, শাহজাহান গ্রেফতার হলেও তাঁর ছায়া সন্দেশখালির উপর থেকে সরেনি। শান্তিও ফেরেনি। এর পাশাপাশি ওই কাণ্ডে সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়। কারণ, তাঁদের অনেকেই ওই এলাকার বাসিন্দা। এ ব্যাপারে হলফনামা জমা দিতে বলেছে হাই কোর্ট। জনস্বার্থ মামলাকারীদের অন্যতম প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল জানান, সন্দেশখালির প্রায় ৮০ জন আক্রান্ত আছেন যাঁদের কোনও না কোনও অভিযোগ আছে। তাঁদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-সহ হলফনামা জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এই মামলায় আদালতবান্ধব জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় এ দিন কোর্টে বলেন, অভিযোগ, তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের জমি কেড়ে নিয়েছেন শাহজাহান। কিন্তু বিডিও কী ভাবে সেই জমি ফেরত দিচ্ছেন? এ দিন প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে জমি কেড়ে নেওয়া, সব অভিযোগই কোর্ট শুনবে। তার আগে সব পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE