নারদ কাণ্ডে রাজ্য সরকারের আপত্তি মানল না হাইকোর্ট। আপাতত নারদ কাণ্ড সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন সরকারি কৌঁসুলি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই তদন্তের দাবিরও ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রায় কোনও আর্জিই ধোপে টিকল না। নারদ নিউজ প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ নিজেদের হেফাজতে নিতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া না হলেও, সিবিআইকে গোটা প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে নিল আদালত। তিন সদস্যের কমিটিতে রাখা হল সিবিআই-এর এক আধিকারিককে।
কলকাতা হাইকোর্ট নারদ কাণ্ড নিয়ে হওয়া জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে যে পদক্ষেপ করল, তা নিঃসন্দেহে অস্বস্তি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকারের। প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ সোমবার জানাল, হাইকোর্টের এক জন প্রতিনিধি, সিবিআই-এর ইস্টার্ন জোনের ডিআইজি এবং রাজ্য পুলিশের এক জন আইজি পদমর্যাদার আধিকারিককে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এই কমিটি দিল্লি গিয়ে নারদ নিউজের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করবে। সেই ফুটেজ প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হবে। তার পর হাইকোর্ট স্থির করবে, ফুটেজের সত্যতা পরীক্ষার জন্য তা কোন তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
রাজ্য সরকার মঙ্গলবার হাইকোর্টকে জানাবে, আইজি পদমর্যাদার কোন আধিকারিককে এই কমিটিতে পাঠানো হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশ, কমিটি চূড়ান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে কাজ করবে। কমিটির গতিবিধির কথা প্রকাশ্যে আনা হবে না। কবে তাঁরা দিল্লি যাবেন, কখন ফুটেজ সংগ্রহ করবেন, কখন তা হাইকোর্টে জমা হবে, সে সংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশ করা হবে না। নারদ নিউজের তরফে ম্যাথু স্যামুয়েল বলেছেন, ‘‘হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে আশ্বস্ত বোধ করছি। সব রকম ভাবে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সহযোগিতা করব।’’
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy