Advertisement
০৫ মে ২০২৪

ক্যানসারের ওষুধ হোক সহজলভ্য

সম্প্রতি ক্যানসারের ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল কলকাতার ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধিকর্তা ভি রবিচন্দ্রন সেখানেই এ কথা জানান।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:৩২
Share: Save:

ক্যানসার চিকিৎসায় যে সব ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়, সেগুলির দাম বিচার করে সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে হবে। কী ভাবে ক্যানসার আক্রান্তের কাছে আরও কম দামে উন্নত মানের ওষুধ পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়েও চলছে লাগাতার গবেষণার কাজ। শহর থেকে গ্রাম, সব এলাকার রোগীরাই যাতে সহজে ক্যানসারের ওষুধ কিনতে পারেন, সেই জন্য পিপিপি মডেলে আঞ্চলিক গবেষণাকেন্দ্র বানিয়েও চলছে কাজ।

সম্প্রতি ক্যানসারের ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল কলকাতার ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধিকর্তা ভি রবিচন্দ্রন সেখানেই এ কথা জানান। রসায়ন ও সার মন্ত্রক ক্যানসারের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত ড্রাগের দাম যাচাইয়ের পাশাপাশি, সেগুলির কোথায়-কতটা ঘাটতি রয়েছে, সে বিষয়েও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।

আলোচনার আর এক বক্তা টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের অধিকর্তা ও ক্যানসার চিকিৎসক মামেন চাণ্ডির কথায়, ‘‘এ দেশে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়বে। সেই রোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য সার্বিক ভাবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে খরচ বাড়াতে হবে। সরকার উদ্যোগী হলে তবেই পরিস্থিতির বদলাবে। মানুষের কাছে ওষুধ সহজলভ্য হলে তবেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফিরবে এবং সাধারণ মানুষের তার উপরে বিশ্বাস ফিরবে।’’ ক্যানসার চিকিৎসক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য অবশ্য জানান, ক্যানসার চিকিৎসার ব়ড় বাধা হল পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং ওষুধ না থাকা। ক্যানসার রোধে সচেতনতার প্রসারেরও কথাও তুলে ধরেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cancer Indian Chamber of Commerce Medicine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE