Advertisement
E-Paper

‘নো এন্ট্রি’ বিধি মানছে না গাড়ি

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ ‘নো এন্ট্রি’ বিধি যথাযথ ভাবে মানা হচ্ছে না বলেই ওই ভোগান্তি। শনিবার সকালে এ ব্যাপারে এলাকার বাসিন্দারা সরব হন। এলাকায় পুলিশ পৌঁছে যানজট মুক্ত করে।

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৩৯

এলাকা দিয়ে চলে গিয়েছে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের পাকুড় যাওয়ার রাস্তা। মুরারই থানার রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল ছাড়া ঝাড়খণ্ডের পিপুলপাহাড়ি, মালপাহাড়ি পাথর শিল্পাঞ্চলের গাড়িও ওই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। এর ফলে প্রায় দিনই রাস্তার যানজট সৃষ্টি হয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ ‘নো এন্ট্রি’ বিধি যথাযথ ভাবে মানা হচ্ছে না বলেই ওই ভোগান্তি। শনিবার সকালে এ ব্যাপারে এলাকার বাসিন্দারা সরব হন। এলাকায় পুলিশ পৌঁছে যানজট মুক্ত করে।

মুরারই থানার রাজগ্রাম থেকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় যাওয়ার এই রাস্তা দিয়েই স্থানীয় গার্লস হাইস্কুল, পঞ্চায়েত অফিস, বাজার, হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, ডাকঘর আসাযাওয়া করতে হয়। এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাজগ্রাম–পাকুড় রাস্তায় একটি গাড়ি ঢুকলে সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করা মুশকিল তো হয়ই, হাঁটাচলা করাও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। বছরখানেক আগে ট্রাকের ধাক্কায় রাজগ্রাম পশ্চিমবাজার এলাকার এক চার বছরের শিশু মারা যাওয়ার পরে এলাকার বাসিন্দারা পুলিশ, প্রশাসনের কাছে রাস্তাকে যানজট মুক্ত করার দাবি রাখেন। পাশাপাশি রাজগ্রাম ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশ, প্রশাসনের কাছে রাজগ্রাম–পাকুড় রোডে সকালে এবং বিকেলে চার ঘণ্টা করে ‘নো এন্ট্রি’ রাখার জন্য আবেদন করা হয়। পুলিশ, প্রশাসন থেকে প্রথম দিকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকালে ৩টে থেকে ৭টা পর্যন্ত নো এন্ট্রি লাগু করে। পরে সময় কমিয়ে সকাল ৯টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ৩টে থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নো এন্ট্রি লাগু করা হয়।

রাজগ্রাম ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গোবিন্দলাল বিশ্বাস জানান, ব্যবসায়ী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ, প্রশাসন থেকে রাজগ্রাম–পাকুড় রোডে নো এন্ট্রি চালু করা হয়। কিন্তু, সেই নো এন্ট্রি না মেনে ট্রাক চালকরা এলাকায় ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদকের। ভুক্তভোগীদের অনেকেই জানাচ্ছেন, সঙ্কীর্ণ রাস্তায় একটি গাড়ি ঢুকলে আর একটি গাড়ি পাশ কাটিয়ে বেরোতে পারে না। সেক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকতে হয়। রাজগ্রাম পশ্চিমবাজার এলাকার ব্যবসায়ী রাইহান রেজা জানান, স্কুল-অফিসের সময়ে দুর্ভোগ সব থেকে বাড়ে। বাজারে ক্রেতারা দোকানের সামনে একটু দাঁড়িয়ে মাল কেনার জায়গা পান না। পুলিশ, প্রশাসন নো এন্ট্রির সময় বেঁধে দিলেও প্রায় দিনই বিধি মানা হচ্ছে না বলে নালিশ জানিয়েছেন তিনিও।

শনিবার সকালেও নো এন্ট্রি বিধি লঙ্ঘন করা নিয়ে লরি চালকদের সঙ্গে এলাকাবাসীর একাংশের বচসা হয়। এলাকার বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ করে নো এন্ট্রি বিধি নিয়ে সরব হন। এরপরেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাজগ্রাম পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সম্পাদক আসগার আলি বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। তা ছাড়া নো এন্ট্রি বিধি মেনেই পাথর শিল্পাঞ্চলে গাড়ি যাতায়াত করা উচিত।’’

No Entry Roads
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy