Advertisement
E-Paper

পাশ-ফেল ফিরলেও একাধিক সুযোগ চাই পরীক্ষার

বাম জমানার সিদ্ধান্ত বর্জন করে স্কুলে ফের পাশ-ফেল চালু করার দাবি উঠছে দীর্ঘদিন ধরেই। চলছে বিতর্ক-আলোচনাও। এ বার কেন্দ্রীয় সরকারও জানিয়ে দিল, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা ফেরানো হোক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৭ ০৩:৫৯

বাম জমানার সিদ্ধান্ত বর্জন করে স্কুলে ফের পাশ-ফেল চালু করার দাবি উঠছে দীর্ঘদিন ধরেই। চলছে বিতর্ক-আলোচনাও। এ বার কেন্দ্রীয় সরকারও জানিয়ে দিল, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা ফেরানো হোক। তবে যারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হবে, তিন মাসের মধ্যে তারা যাতে আবার পরীক্ষা দিতে পারে, সেই সংস্থান রাখা দরকার। কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা সচিব অনিল স্বরূপ মঙ্গলবার কলকাতায় এ কথা জানান।

এ দিন মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্সে এক আলোচনাসভায় পাশ-ফেল প্রথার কথা তোলেন কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা সচিব। তিনি বলেন, ‘‘পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনাই যায়। তবে পড়ুয়াদের পাশের একাধিক সুযোগ দেওয়া হোক। কোনও পড়ুয়া অকৃতকার্য হলেও তাকে আবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া দরকার। যাতে সে পরীক্ষাকে ভয় না-পায়। সে যেন বোঝে, এ ভাবেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে। সে যেন বোঝে, এক বার অকৃতকার্য হওয়া মানেই সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়।’’ কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা সচিব একই সঙ্গে জানিয়ে দেন, রাজ্যগুলির উপরে এই ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হবে না। তারা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী এখন প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা নেই। তবে এই প্রথা ফেরানোর ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে।রাজ্যগুলির মতামত জানতে চেয়েছিল কেন্দ্র। অধিকাংশ রাজ্যই পাশ-ফেল প্রথা ফেরানোর পক্ষে মত দিয়েছে। সেই সব রাজ্যের মধ্যে আছে পশ্চিমবঙ্গও।

কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা সচিবের এ দিনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, কেন্দ্রের কাছ থেকে লিখিত ভাবে প্রস্তাব এলে তখন বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। খতিয়ে দেখা হবে পুরো বিষয়টি।

রাজ্যে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব স্কুলে বাংলা ভাষার পঠনপাঠন বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা সচিব কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে বোর্ডগুলির সঙ্গেই রাজ্যের আলোচনা করার কথা।’’

স্কুলপড়ুয়াদের সার্বিক শিক্ষার উপরে জোর দেন এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ। স্কুলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না-থাকাই কাম্য বলে মন্তব্য করেন চেম্বারের সহ-সভাপতি রমেশ অগ্রবাল। তিনি বলেন, ‘‘ওই ধরনের হস্তক্ষেপের কারণে বহু বেসরকারি গোষ্ঠী রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে লগ্নি করতে দ্বিধাগ্রস্ত।’’

Pass Fail Central Government
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy