রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আজ, সোমবার রাজ্যের ৩৬টি বুথে পুরভোটের পুনর্নির্বাচন হবে। শনিবার রাজ্যের ৯১টি পুরসভার ভোটে রাজ্যের নানা জায়গায় ভোট লুঠ এবং রিগিংয়ের অভিযোগ এনেছিল বিরোধীরা। তা খতিয়ে দেখে রবিবার কমিশন এই পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও কমিশনের এই পদক্ষেপকেও প্রশ্নাতীত বলে মনে করছে না বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, যে সব বুথে সম্পূর্ণ ভোট লুঠ হয়ে যাওয়ায় সব বিরোধী দলই পুনর্নির্বাচন চেয়েছিল, সেগুলি ওই ৩৬-এর তালিকায় নেই। এই প্রেক্ষিতে বিরোধীদের প্রশ্ন, তা হলে কি শনিবার যে সব বুথে তৃণমূল বিশেষ সুবিধে করতে পারেনি, সেগুলিতে তাদের সামনে আরও একটা সুযোগ এনে দেওয়ার জন্যই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত?
কমিশন জানায়, ৩৬টির মধ্যে শিলিগুড়ির একটি বুথে পুনর্নির্বাচনের কারণ ভোটযন্ত্র খারাপ হয়ে যাওয়া। তা হলে কি বিরোধীদের রিগিংয়ের অভিযোগ আংশিক মেনে নিয়েই বাকি ৩৫টিতে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায় বলেন, ‘‘এর উত্তর সরাসরি দেওয়া সম্ভব নয়। আপনারা বুঝে নিন!’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘বুথ দখল, ভাঙচুর, ইভিএম নিয়ে পালানো—নানা অভিযোগ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছিল। সেগুলো এবং জেলাশাসক, রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার—এঁদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ ৬টি বুথে ওয়েবক্যামের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল বিরোধীরা। সেগুলিতেও পুনর্নির্বাচন হচ্ছে বলে কমিশন জানিয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, যে সব বুথে ওয়েবক্যামের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিতে তারা না চাইলেও কমিশনের পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়ার কথা। সুতরাং, বিরোধীদের দাবি মেনে ওই ৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে, এই যুক্তি ধোপে টেঁকে না। বিরোধীদের দাবি মানতে হলে ভোট লুঠ হওয়া বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিতে হত।