নিয়মিত ক্লাস করার সঙ্গে নম্বর পাওয়ার বিষয়টিও যে জড়িত, তা মনে করিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার তিনি জানান, হাজিরার গুরুত্ব কতটা, পড়ুয়াদের তা বোঝাতে হবে কলেজ-কর্তৃপক্ষকেই। ‘‘কলেজকে বোঝাতে হবে। এটুকু সময় দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। শুধু ঢুকলাম আর চলে এলাম, এটা না-করে তাঁদের অভাব-অভিযোগও শুনতে হবে,’’ বলেন পার্থবাবু।
শিক্ষামন্ত্রী এ দিন ফের স্পষ্ট করে দেন, পড়ুয়াদের হাজিরা নিয়ে যে-বিতর্ক, সেটা পুরোপুরি দেখবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ই। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেদন করছি, তাঁরা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে আস্থা রাখেন।’’ শুধু প্রথম সেমেস্টার নয়, দ্বিতীয় সেমেস্টারের হাজিরা নিয়েও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাঁর মতে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০টি কলেজের মধ্যে হাজিরা নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে মাত্র সাত-আটটি কলেজে।
পড়ুয়াদের ন্যূনতম হাজিরা ৬০ শতাংশের নীচে কিছুতেই নামবে না বলে আগে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে এ দিন সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি উত্তর দেননি। তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হাজিরা নিয়ে নরম কর্তৃপক্ষ হবেন না। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র নির্দেশ, পড়ুয়াদের হাজিরা ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ সেটা কমিয়ে ৬০ শতাংশ করেছেন। ‘‘আর কত ছাড় দেব,’’ প্রশ্ন উপাচার্যের।