Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রবেশিকা হবে কি না ঠিক হয়নি যাদবপুরে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে স্নাতক স্তরের কয়েকটি বিষয়ে ভর্তির পরীক্ষা আদৌ নেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না। রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, বৃহস্পতিবার কর্মসমিতির বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা চলবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৮ ০৩:৪৮
Share: Save:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে স্নাতক স্তরের কয়েকটি বিষয়ে ভর্তির পরীক্ষা আদৌ নেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না। রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, বৃহস্পতিবার কর্মসমিতির বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা চলবে।

গত বছর চারটি বিষয়ে ভর্তির পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তার সঙ্গে এ বার বাংলা, ইতিহাসেও প্রবেশিকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী ভর্তির বিজ্ঞপ্তিও দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু আদৌ ভর্তি-পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়ে আলোচনার জন্য এ দিন বৈঠকে বসে কর্মসমিতি। শিক্ষা সূত্রের খবর, এ দিন কর্মসমিতির বৈঠকে উচ্চশিক্ষা সংসদের মনোনীত সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপা নেতা মনোজিৎ মণ্ডলের দাবি ছিল, ভর্তির পরীক্ষা নেওয়ার কোনও আইন যাদবপুরে নেই।

যাদবপুরে কলা বিভাগে কিছু বিষয়ে ভর্তির পরীক্ষা নিয়ে অতীতে বারে বারেই আপত্তি জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কলা বিভাগের ডিন শুভাশিস বিশ্বাস বুধবার জানান, শিক্ষামন্ত্রী চান, মেধার ভিত্তিতেই ভর্তি হোক। এ দিন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস অবশ্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী তথা সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেই। এ দিন সকালের দিকে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে তাঁর সঙ্গে উপাচার্যের বৈঠকও হয়েছে।

যাদবপুরের শিক্ষক সংগঠন জুটা-র সহ-সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এ দিন বলেন, ‘‘বোর্ড অব স্টাডিজে সিদ্ধান্তের পরে কেন আবার কর্মসমিতিতে এই বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেটাই আশ্চর্যের! ভর্তির ফর্ম পূরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। যাদবপুরের মতো শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির পক্ষে এটি ক্ষতিকর।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE