Advertisement
E-Paper

আপিল মামলা নিয়েই সঙ্কট ক্রেতা সুরক্ষায়

ঢালাও প্রচার চালিয়ে এবং ক্ষেত্রবিশেষে মামলা ঠুকে প্রতারিত উপভোক্তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। কিন্তু নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে কিছু মামলা নিয়েই। রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায় বেরোনোর পরে অনেক ক্ষেত্রে মামলা ফের হাইকোর্টে ওঠায় বিব্রত ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৪২

ঢালাও প্রচার চালিয়ে এবং ক্ষেত্রবিশেষে মামলা ঠুকে প্রতারিত উপভোক্তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। কিন্তু নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে কিছু মামলা নিয়েই। রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায় বেরোনোর পরে অনেক ক্ষেত্রে মামলা ফের হাইকোর্টে ওঠায় বিব্রত ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।

শুক্রবার জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা দিবস উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠানে এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। তাঁর আশঙ্কা, ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায় যদি হাইকোর্টে ‘মান্যতা’ না-পায়, তা হলে যাঁরা প্রতিনিয়ত ঠকছেন, তাঁদের সাহায্য করার জন্য ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের পাশে থাকার ভিত দুর্বল হয়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলে জানান সাধনবাবু।

২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের কাজকর্মে ভরসা বাড়ছিল পণ্য পরিষেবা এবং কেনাকাটার ক্ষেত্রে ঠকতে থাকা সাধারণ মানুষের। কেউ ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হয়েই আপসমীমাংসায় সুফল পেয়েছেন। কেউ বা প্রতিকার পেয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায়ে। কিন্তু ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের কিছু রায়ের বিরুদ্ধে ফের হাইকোর্টে মামলা ওঠায় অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধনবাবুর দফতরকে। তাঁদের আদালত রায় দেওয়ার পরেও হাইকোর্টে সেটাকে চ্যালেঞ্জ জানানোয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের উপরে মানুষের ভরসার জায়গাটা কিছুটা হলেও ধাক্কা খাচ্ছে। এই নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন মন্ত্রী সাধনবাবু। তাঁর বক্তব্য, জনগণের কথা ভেবেই কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। সমস্যা কোথায় এবং কতটা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তিনি তা জানাবেন।

ক্রেতা সুরক্ষা দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের ৮৪০টি স্কুলকে কনজিউমার বা উপভোক্তা ক্লাব খোলার জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে। এ দিন কলকাতা ও সল্টলেকের ১৮০টি স্কুলের কর্তৃপক্ষের হাতে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। সাধনবাবু জানান, তাঁর দফতর সম্পর্কে স্কুলপড়ুয়াদের সচেতন করতেই ক্লাব গড়ার জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। দফতরের ভূমিকা নিয়ে সেমিনার, বিতর্ক, স্লোগান লেখায় ছাত্রসমাজকে পারদর্শী করে তোলাই মূল কাজ। প্রতি বছর স্কুল-পিছু ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ‘‘আদতে এই ধরনের প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র। পরে তারা সেটা তুলে দেয়। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা নিজেরাই এই প্রকল্প চালাবে,’’ বললেন সাধনবাবু।

Consumer Forum
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy