চলছে থার্মাল স্ক্রিনিং। ছবি পিটিআই।
লকডাউনে থমথমে পশ্চিমবঙ্গে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সোমবারের পরে আরও দু’জনের ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ায় মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলায় করোনারোগী ন’জন। আরও আট জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট কী হয়, সে-দিকেই উদ্বিগ্ন দৃষ্টি স্বাস্থ্য দফতরের।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে যে-দু’জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব স্বাস্থ্য দফতর এ দিন নিশ্চিত করেছে, তাঁদের এক জন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। মিশর থেকে ১৫ মার্চ কলকাতায় ফেরেন ৫৩ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি। দেশে ফেরার পাঁচ দিন পরে তিনি জ্বর-কাশির উপসর্গ নিয়ে আইডি-তে ভর্তি হন। ওই পাঁচ দিনে স্ত্রী-মেয়ে-আত্মীয় ছাড়াও নিজের ওষুধের দোকানে বহু মানুষের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ফলে তাঁকে কেন্দ্র করে করোনার সংক্রমণ-বৃত্ত বেশ বড় হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আক্রান্ত এক মহিলা লন্ডনে বড় ছেলের কাছে গিয়েছিলেন। ১৮ মার্চ দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে ফিরে স্বামী, ছোট ছেলে, পরিচারিকার কাছাকাছি হন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা যে-দিন ভর্তি হন, সে-দিনই গলাব্যথার উপসর্গ নিয়ে আসা মহিলাকে পরীক্ষা করে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় আইডি। নাইসেডে দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষায় দু’জনেরই করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে মঙ্গলবার জানায় স্বাস্থ্য দফতর। এমআর বাঙুর হাসপাতালে রাজ্যের প্রথম করোনা-বলি প্রৌঢ়ের মায়ের দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষায় ভাইরাস মেলেনি।
আইডি-তে এ দিন নতুন ছ’জনকে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের লালারসের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষা অণিমা হালদার। বাঙুর হাসপাতাল থেকেও এ দিন ছ’জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ-যোগে জ্বর-সর্দির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া এক যুবকের দিকে বিশেষ নজর রেখেছে জনস্বাস্থ্য বিভাগ। তিনি উত্তরপ্রদেশে এক করোনারোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। করোনায় মৃত প্রৌঢ়ের সংস্পর্শে আসায় তাঁর এক সহকর্মী নীলরতন সরকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই দমদমবাসীর লালারসের নমুনা এসএসকেএমে পাঠানো হয়েছে। এনআরএসের খবর, প্রাথমিক পরীক্ষায় তাঁর নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। দ্বিতীয় বার নমুনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। কুয়েত থেকে ফেরা ওই ব্যক্তির উপরে বিশেষ ভাবে নজরদারি চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে ‘আইবি২’-এর পাশাপাশি ‘আইবি৬’ ওয়ার্ডেও করোনারোগীদের রাখা হবে। আইডি-র অধ্যক্ষা জানান, এখন থেকে আইবি৬ ওয়ার্ডে আর করোনা-পর্যবেক্ষণে থাকা রোগীদের ভর্তি করা হবে না। আগামী দু’দিনের মধ্যে ‘আইবি৩’ নামে নতুন একটি ওয়ার্ড গড়ে তোলা হচ্ছে। পর্যবেক্ষণাধীন রোগীদের রাখা হবে সেখানেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy