দুর্নীতির অভিযোগ পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি-র পিছু ছাড়ছে না।
ডব্লিউবিসিএস এবং লিগ্যাল সার্ভিস পরীক্ষার পরে মোটরযান ইনস্পেক্টর নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছে পিএসসি। এমনকী এ বার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের তরফে।
সম্প্রতি পরিবহণ দফতরে মোটর ভেহিক্লস ইনস্পেক্টর (এমভিআই) নিয়োগের পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ওই দফতরের সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পিএসসি-র চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছেন কিছু পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, ওই নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষার নম্বর যোগ না-করে বেআইনি ভাবে শুধু মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মেধা-তালিকা তৈরি হয়েছে।
পিএসসি-র তরফে অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থার এক কর্তার ব্যাখ্যা, সাধারণত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যৌগ করেই মেধা-তালিকা তৈরি হয়। তবে এ ক্ষেত্রে যে সেটা হবে না, বিজ্ঞপ্তিতেই তা উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মৌখিকে ডাকা হয়। পরে মৌখিকের নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে মেধা-তালিকা।
পরীক্ষার্থীরা কিন্তু পিএসসি-র এই ব্যাখ্যা মানতে রাজি নন। তাঁদের বক্তব্য, আগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যোগ করেই মেধা-তালিকা হত। এ বার সেটা হয়নি। সেটা যে হবে না, তা
আগে থেকেই পিএসসি-র ঘোষণা করা উচিত ছিল। তাঁদের অভিযোগ, বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি মোটেই পরিষ্কার করে জানানো হয়নি।
এর আগে ডব্লিউবিসিএস এবং লিগ্যাল সার্ভিস পরীক্ষাতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে পিএসসি-র বিরুদ্ধে। এ বার উঠল এমভিআই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে। পিএসসি-কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা না-নিলে বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও হুমকি দিয়েছেন বেশ কয়েক জন পরীক্ষার্থী।
শুধু পরীক্ষার্থীদের হুমকি নয়। নিজেদের কর্মীদের আন্দোলনের মুখেও পড়েছে পিএসসি। তিন কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত প্রত্যাহার এবং স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ ব্যবস্থার দাবিতে বুধবার পিএসসি ভবনের সামনে গণ-অবস্থান করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি। ওই কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, পিএসসি-র বিভিন্ন পরীক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে বলে তাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। সেই কর্মসূচিতে স্লোগান দেওয়ার ‘অপরাধ’-এ তিন কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত ৮ জুলাই মাঝপথে তদন্ত কমিটির প্রধানকে সরিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী এনে তদন্ত চালানো হচ্ছে। তাঁরা কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নন।
আন্দোলনকারীরা এ দিন অবস্থান মঞ্চ থেকে পিএসসি-র চেয়ারম্যান সইদুল ইসলামের কাছে একটি স্মারকলিপিও পেশ করেছেন।ফের দুর্নীতির নালিশ, মামলার মুখে পিএসসি
নিজস্ব সংবাদদাতা: দুর্নীতির অভিযোগ পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি-র পিছু ছাড়ছে না।
ডব্লিউবিসিএস এবং লিগ্যাল সার্ভিস পরীক্ষার পরে মোটরযান ইনস্পেক্টর নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছে পিএসসি। এমনকী এ বার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের তরফে।
সম্প্রতি পরিবহণ দফতরে মোটর ভেহিক্লস ইনস্পেক্টর (এমভিআই) নিয়োগের পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ওই দফতরের সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পিএসসি-র চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছেন কিছু পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, ওই নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষার নম্বর যোগ না-করে বেআইনি ভাবে শুধু মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মেধা-তালিকা তৈরি হয়েছে।
পিএসসি-র তরফে অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থার এক কর্তার ব্যাখ্যা, সাধারণত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যৌগ করেই মেধা-তালিকা তৈরি হয়। তবে এ ক্ষেত্রে যে সেটা হবে না, বিজ্ঞপ্তিতেই তা উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মৌখিকে ডাকা হয়। পরে মৌখিকের নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে মেধা-তালিকা।
পরীক্ষার্থীরা কিন্তু পিএসসি-র এই ব্যাখ্যা মানতে রাজি নন। তাঁদের বক্তব্য, আগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যোগ করেই মেধা-তালিকা হত। এ বার সেটা হয়নি। সেটা যে হবে না, তা
আগে থেকেই পিএসসি-র ঘোষণা করা উচিত ছিল। তাঁদের অভিযোগ, বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি মোটেই পরিষ্কার করে জানানো হয়নি।
এর আগে ডব্লিউবিসিএস এবং লিগ্যাল সার্ভিস পরীক্ষাতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে পিএসসি-র বিরুদ্ধে। এ বার উঠল এমভিআই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে। পিএসসি-কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা না-নিলে বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও হুমকি দিয়েছেন বেশ কয়েক জন পরীক্ষার্থী।
শুধু পরীক্ষার্থীদের হুমকি নয়। নিজেদের কর্মীদের আন্দোলনের মুখেও পড়েছে পিএসসি। তিন কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত প্রত্যাহার এবং স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ ব্যবস্থার দাবিতে বুধবার পিএসসি ভবনের সামনে গণ-অবস্থান করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি। ওই কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, পিএসসি-র বিভিন্ন পরীক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে বলে তাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। সেই কর্মসূচিতে স্লোগান দেওয়ার ‘অপরাধ’-এ তিন কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত ৮ জুলাই মাঝপথে তদন্ত কমিটির প্রধানকে সরিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী এনে তদন্ত চালানো হচ্ছে। তাঁরা কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নন।
আন্দোলনকারীরা এ দিন অবস্থান মঞ্চ থেকে পিএসসি-র চেয়ারম্যান সইদুল ইসলামের কাছে একটি স্মারকলিপিও পেশ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy