ভারতী ঘোষের মামলায় এ বার সিআইডি-র নজরে মেদিনীপুর আদালতের এক মুহুরি। শনিবার সিআইডি-র সদর দফতর ভবানী ভবনে ডেকে জেরা করা হয়েছে খড়্গপুরের বাসিন্দা ওই মুহুরিকে। তিনি মেদিনীপুর জেলা আদালতের এক আইনজীবীর অধীনে কর্মরত।
সিআইডি সূত্রে খবর, ওই মুহুরি খড়্গপুর গ্রামীণ থানার প্রাক্তন ওসি রাজশেখর পাইনের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। উত্তর চব্বিশ পরগণার ব্যবসায়ী ইউনুস আলি মণ্ডলের দায়ের করা টাকা হাতানোর মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজশেখর। ওই মামলাতেই অভিযুক্ত ভারতী। সেই মামলার তদন্তেই এই মুহুরিকে তলব করা হয়েছিল বলে সিআইডি সূত্রের খবর।
২০১৬ সালে খড়্গপুর গ্রামীণের সাদাতপুরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ইউনুস আলি মণ্ডলের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছিল। তারপরে গাড়িতে থাকা প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা লোপাট হয়ে যায় বলে অভিযোগ। ইউনুস খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় গেলে ওই মুহুরিই অভিযোগ লিখেছিলেন বলে জানতে পেরেছে সিআইডি। যদিও সেই সময় টাকা লোপাটের উপযুক্ত অভিযোগ পুলিশ দায়ের করেনি বলে দাবি করে ইউনুস হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরে সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিলেও সম্প্রতি মেদিনীপুর জেলা আদালতে ফের মামলা রুজুর আর্জি জানান ইউনুস। তার ভিত্তিতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় ভারতী ঘোষ, রাজশেখর পাইন-সহ ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।
আরও পড়ুন: ভাত চাই! ক্ষুব্ধ গ্রামে পোস্টার
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় রাজশেখরের তাঁর কেমন সম্পর্ক, ওই মুহুরি খড়্গপুর শহরে যে বাড়ি তৈরি করছেন সেই টাকার উৎস কী, এ সবই জানতে চাওয়া হয়। তারপর দেখানো হয়, ২০১৬ সালে ওই মুহুরির হাতে লেখা ইউনুস আলি মণ্ডলের অভিযোগপত্রটি। মুহুরি স্বীকার করেন, অভিযোগপত্রটি তিনিই লিখেছিলেন। তবে অভিযোগ লেখার সময় ইউনুসকে তিনি চিনতেন না বলে সিআইডি-র কাছে দাবি করেছেন ওই মুহুরি। মুহুরির আরও দাবি, পুলিশ আধিকারিকদের কথা মতোই অভিযোগপত্রটি লিখেছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy