অনেক আদালতের পৃথক বাড়ি নেই। কোথাও বা নথি রাখার জায়গার অভাব। নথির প্রত্যয়িত প্রতিলিপি আদালতে পেশ করার ব্যবস্থা নেই অনেক জায়গায়। শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই অধিকাংশ মহিলা বিচারক ও আইনজীবীদের। বসার জায়গা নেই আইনজীবীদের। আলাদা ঘরও নেই বার অ্যাসোসিয়েশনের। এই ধরনের পরিকাঠামোর অভাবে রঘুনাথপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়ার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
বার কাউন্সিলের সদস্য প্রসূন দত্ত জানান, আসানসোল, দুর্গাপুর, তমলুক আদালতে পরিকাঠামোর কাজ শুরু হলেও রাজ্যের অন্যান্য আদালতে তার নামগন্ধ নেই। তাঁর অভিষোগ, তীব্র গরমে আইনজীবীদের কাজের অসুবিধা তো হয়ই, অসুবিধা হয় বিচারপ্রার্থীদেরও। অনেক আদালতে পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই, আদালতের ভিতরে পর্যাপ্ত বাতাস নির্গমনের ব্যবস্থা নেই। নেই বাতানুকূল ব্যবস্থাও। এই পরিস্থিতিতে বিচার প্রক্রিয়া চলতে পারে না।
রাজ্য বার কাউন্সিলের অন্য এক সদস্য জানান, বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা আদালতে পৃথক ঘরের প্রয়োজন। ফাস্ট ট্র্যাক আদালত, মহকুমা ও অতিরিক্ত জেলা আদালত ছাড়াও দেওয়ানি ও ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের আলাদা ঘর দরকার। দরকার জেলা ও মহকুমা আদালতের বিচারকদের বাসস্থানেরও। তা না-থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই বিচার প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে।