Advertisement
E-Paper

ফণীর ঝাপটা সামলাতে এ রাজ্যেও তৎপরতা তুঙ্গে, কেন্দ্র দিল ২৩৫ কোটি

আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ফণী ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার গোপালপুর এবং পুরীর মধ্যে আছড়ে পড়লেও, তার প্রভাব টের পাওয়া যাবে পশ্চিমবঙ্গেও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৯ ১৯:৪৬
পর্যটকদের সতর্ক করতে দিঘা সমুদ্র সৈকতে মাইকে প্রচার প্রশাসনের। —নিজস্ব চিত্র।

পর্যটকদের সতর্ক করতে দিঘা সমুদ্র সৈকতে মাইকে প্রচার প্রশাসনের। —নিজস্ব চিত্র।

ফণীর ধাক্কা সামলাতে জেলা প্রশাসনকে অবিলম্বে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলল নবান্ন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান নবান্নে বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন।

আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ফণী ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার গোপালপুর এবং পুরীর মধ্যে আছড়ে পড়লেও, তার প্রভাব টের পাওয়া যাবে পশ্চিমবঙ্গেও। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলি ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো হাওয়া বইবে শুক্রবার থেকেই। সেই হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই, উদ্ধার এবং ত্রাণের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের জন্য ২৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান বুধবার বলেন,‘‘আমরা ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে পরিস্থিতি অনুযায়ী উপকূলবর্তী এলাকা এবং সুন্দরবন এলাকা থেকে মানুষ এবং গবাদি পশু নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করতে। ওই এলাকাগুলিতে থাকা সাইক্লোন রিলিফ সেন্টার এবং ফ্লাড রিলিফ সেন্টারে ত্রাণ সামগ্রী মজুত করার কাজ শুরু হয়েছে।”তিনি আরও বলেন,‘‘দক্ষিণবঙ্গের বাকি এলাকাতে ভারী বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: বাংলায় ১১৫ কিলোমিটার বেগে ‘ছোবল’ মারতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী​

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন,‘‘মৎস্যজীবীদের আমরা সমুদ্রে যেতে না করেছি। যাঁরা ইতিমধ্যে গভীর সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেঅবিলম্বে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণির সৈকতে পুলিশ মাইকে ঘোষণা করছে যাতে পর্যটকরা সমুদ্রে না নামেন। তাঁদের শুক্রএবং শনিবার হোটেলে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।”

পরিস্থিতি অনুযায়ী উদ্ধারকাজে রাজ্যকে সাহায্য করতে কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র পাঁচটি দল এ রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে থাকছেন ৪৫ জন করে উদ্ধাকারী। আরও ১৩টি দলকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে দেশি নৌকা এবং ছোট জলযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, তাদের সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। তাঁদের বিমানেও নজরদারি চালাবেন পরিস্থিতির উপর।

ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা পড়বে রেল চলাচলেও। সেই আশঙ্কা থেকেই এ দিন রেলের শীর্ষ কর্তারা ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিশেষ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পর রেল কর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ পূর্ব এবং পূর্ব রেলের বেশ কিছু ট্রেনের সময় বদল করা হতে পারে। প্রয়োজনে বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করার সম্ভাবনাও রয়েছে। রেল ট্র্যাকে নজরদারির জন্য অতিরিক্ত কর্মী রাখা হচ্ছে। যাতে ট্র্যাকে ক্ষয়ক্ষতি হলে দ্রুত মেরামত করা যায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরীতে আটকে থাকা এ রাজ্যের পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার পুরী থেকে বিশেষ ট্রেন চালাবে দক্ষিণ পূর্ব রেল। শহরতলির ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছে রেল।

আরও পড়ুন: উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ফণী, কালকের মধ্যে পুরী ছাড়ার নির্দেশ পর্যটকদের

রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতা শহরে পুরসভা এবং পুলিশ যৌথভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তৈরি হচ্ছেন। কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই ইঞ্জিনিয়ারিং, নিকাশি, পার্ক এবং আলো বিভাগের কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। ঝড়ে গাছ উপড়ে গেলে যাতে দ্রুত সরানো যায় সে জন্য পুরসভা ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।

Cyclone Fani Weather Forecast Storm Rain West Bengal ফণী Fani
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy