কিন্তু এই দুটি পদ্ধতিতে আগামী ৮ জুন থেকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিলাররা। শুধু গ্রাহকের আধার নম্বর ই-পস যন্ত্রে নথিভুক্ত করেই রেশন দেওয়া হবে। তবে রেশন ডিলারদের এমন হুমকি সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ খাদ্য দফতর। তাঁদের কথায়, রেশন বণ্টন পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনতেই আধার নম্বর বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় যাচাই করা হয়। একজন বৈধ গ্রাহক রেশন পাওয়া থেকে যাতে বঞ্চিত না হন, তার জন্য দুটি ব্যবস্থা পাশাপাশি রাখা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রেশন ডিলাররা জানিয়েছেন, বহু রেশন গ্রাহককে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে আধার যাচাই করে বা মোবাইলে আসা ওটিপি নম্বরের ভিত্তিতে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। খাদ্য দফতরের তরফে আগে বলা হয়েছিল এই দুই পদ্ধতিতে রেশন কার্ড যাচাই সম্ভব না হলে, শুধু আধার নম্বর ই-পস যন্ত্রে নথিভুক্ত করে রেশন দেওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তবে যাচাই প্রক্রিয়া না করে রেশন দিলে ডিলারদের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কার্ড ‘ব্লক’ করা হচ্ছে।
ফলে পরবর্তী সময়ে বৈধ রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও রেশন পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। রেশন ডিলার ও গ্রাহকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে।এমন পরিস্থিতিতে বায়োমেট্রিক যাচাই ছাড়াই রেশন দেওয়ার অনুমতি দিক খাদ্য দফতর। জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলার্সের তরফে সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, "আমাদের এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ, আধার কার্ডের বহু জায়গায় ভুল থেকে যাচ্ছে। কোথাও আধার কার্ডে আগের মোবাইল নম্বারের জায়গায় নতুন মোবাইল নম্বার এসেছে গ্রাহকদের। কোথাও আবার আধার কার্ড আপডেট না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। ফলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সমস্যা বাড়ছে। তাই আমরা আমাদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছি। খাদ্য দফতর আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও আমাদের কিছু করার নেই।"