প্রতীকী ছবি।
আপাতত ভোটের পথে না হেঁটে পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল আ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর চুক্তি পুনর্নবীকরণ করার ভাবনাচিন্তা শুরু করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। পাহাড়ে অচলাবস্থা কাটানোর লক্ষ্যে গত কালের বৈঠকে সুর নরম করেছে সব পক্ষই। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রসঙ্গও তুলেছেন পাহাড়ের প্রতিনিধিরা। রাজ্যও তা একেবারে উড়িয়ে দেয়নি। সে সব কথা মাথায় রেখে নতুন করে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, মমতা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এ নিয়ে চূড়ান্ত দিনক্ষণ স্থির করতে চাইছে নয়াদিল্লি। এবং ওই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেই জিটিএ চুক্তি পুনর্নবীকরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে কেন্দ্র।
পাহাড়ে বন্ধ এখনও না উঠলেও, যে ভাবে রাজ্য কাল সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে, তাকে শুভ সঙ্কেত বলেই মনে করেছে নয়াদিল্লি। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী যে গোর্খাল্যান্ডের প্রশ্নে পাহাড়ের প্রতিনিধিদের দাবিদাওয়া শুনেছেন, তাকে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন স্বরাষ্ট্রকর্তারা। মন্ত্রক মনে করছে, তবে আলোচনার পরিবেশ তৈরি হলেও ভোট এখন সম্ভব নয়। তাই আপাতত পুরনো জিটিএ চুক্তির পুনর্নবীকরণ করার কথা ভাবা হচ্ছে। এক কর্তার কথায়, আপাতত ওই চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে পাহাড়ে শান্তি ফেরানোই লক্ষ্য কেন্দ্রের। তবে কেন্দ্র ও রাজ্যের পাশাপাশি তৃতীয় পক্ষ হিসেবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা থাকবে, নাকি পাহাড়ের সব দলের প্রতিনিধিদের রাখা হবে, তা স্পষ্ট নয়।
আগামিকাল দায়িত্ব নিচ্ছেন নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গৌবা। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে ত্রিপাক্ষিক নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলবে দিল্লি। গোর্খা নেতারা আলোচনায় বসতে তৈরি। এ বার রাজ্য কী বলে, সেটাই আসল। কেন্দ্রের কথায়, রাজ্য না চাইলে এগোবে না তারা।
এর মধ্যে পাহাড়ের বৈঠককে স্বাগত জানিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘যাঁরা মঙ্গলবার এসেছিলেন, তাঁরা কি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি?’’ একই সুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘বিমল গুরুঙ্গকে বাদ দিয়ে পাহাড়ে বৈঠক হতে পারে না।’’ কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, ‘‘গুরুঙ্গ আর মুখ্যমন্ত্রী তো ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্নে’ চলে গিয়েছেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy