ছিনতাইবাজ নিম্নচাপকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য দরকার ছিল একটি প্রবল ঘূর্ণাবর্তের বা একটি শক্তিধর নিম্নচাপের। অথবা দু’টিরই।
একসঙ্গে না-হলেও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের ঘূর্ণাবর্তের পরে পরেই বঙ্গোপসাগরে রণসাজে সাজছে একটি নিম্নচাপ। দক্ষিণবঙ্গের বর্ষাভাগ্যের চাকা সে ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে আবহাওয়া দফতরের আশা।
আবহবিদেরা বলছেন, একই সঙ্গে বর্ষার উদ্ধারকর্তা এবং মৌসুমি বাতাসের দূতের ভূমিকা নিতে পারে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ। মৌসুমি বায়ু এ বার সময়ের কিছু আগে কেরলে পৌঁছে গেলেও তাকে মাঝপথ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় আরব সাগরের এক বর্গি-নিম্নচাপ। সেই থেকে উপগ্রহ-চিত্রে চোখ রেখে বসে আছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আরব সাগরের নিম্নচাপ মৌসুমি বায়ুকে পশ্চিমে টেনে নিয়ে যাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমন নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল। বর্ষার পথে কাঁটা সরাতে বঙ্গোপসাগরের উপরে পাল্টা একটি জোরদার নিম্নচাপের দরকার ছিল। রবিবার দুপুরে উপগ্রহ-চিত্রে সম্ভাব্য সেই ত্রাতা নিম্নচাপের সূচনা ধরা পড়েছে। আজ, সোমবার সেটি জোরালো হতে পারে। এবং সে যত শক্তিশালী হতে থাকবে, বর্ষা তত দ্রুত ঢুকে পড়বে দক্ষিণবঙ্গে, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: বাংলার প্রশ্ন বিভ্রাটে গন্ধ অন্তর্ঘাতেরই
কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই নিম্নচাপটি শক্তি বাড়ালে চলতি সপ্তাহেই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে যেতে পারে বর্ষা।’’ আবহবিজ্ঞানীদের একাংশ জানান, পশ্চিম ভারত থেকে একটি অক্ষরেখা উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই অক্ষরেখা বরাবর নিম্ন়চাপটি সরে আসতে পারে।
নিম্নচাপের আগেই অবশ্য বর্ষা উদ্ধারে নেমেছে অন্ধ্রের ঘূর্ণাবর্ত। আরব সাগরের নিম্নচাপের টানে জলীয় বাষ্প পশ্চিমে চলে যাচ্ছিল। শনিবার অন্ধ্র উপকূলের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্ত আশ্বস্ত করে আবহবিদদের। তাঁরা জানান, ওই ঘূর্ণাবর্ত আরব সাগর থেকে জলীয় বাষ্প টেনে আনছে পূর্ব উপকূলে। এ বার ত্রাতা নিম্নচাপের তীব্রতা যত বাড়বে, আরব সাগর থেকে পাল্লা দিয়ে জলীয় বাষ্প ঢুকবে বঙ্গোপসাগর উপকূলে। বর্ষা এক্সপ্রেস ফিরবে নিজের গতিপথে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy