পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানের সঙ্গে কট্টর মৌলবাদী জামাতে ইসলামির যোগের তদন্ত করছে বাংলাদেশ সরকার। বিদেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আজ এই খবর জানিয়েছেন। ইমরানের মাধ্যমে অর্থলগ্নি সংস্থা সারদার কোটি কোটি টাকা জামাতের হাতে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার বাংলাদেশের সংসদে বিষয়টি আলোচনার জন্য গৃহীত হওয়ার পরেও সময়াভাবে তা স্থগিত রাখা হয়। স্পিকার শিরিন শরমিন চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ।” এ নিয়ে আরও বৃহত্তর পরিসরে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার সময় নির্দিষ্ট করেছেন স্পিকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ জানিয়েছে, তারা চায় ভারত সরকারও বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করুক। যাতে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে রাজনৈতিক প্রভাবের জন্য পার পেয়ে না যায়।
আজ সংসদের অধিবেশনের পরে সংসদ চত্বরেই বাংলাদেশের বিদেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবর তাঁদের নজরে এসেছে। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সারদা গোষ্ঠীর বিপুল অর্থ জামাতে ইসলামির হাতে আসার অভিযোগে তাঁরা উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁরা ইতিমধ্যেই বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছেন। কী ভাবে, কাদের মাধ্যমে এই অর্থ বাংলাদেশের মৌলবাদীদের হাতে পৌঁছেছে, সে টাকা তার পরে কোথায় ব্যবহৃত হয়েছে, তা খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শাহরিয়ার আলম বলেন, “দু’দেশের মধ্যে সুন্দর একটি সম্পর্ক রয়েছে। আশা করি দু’দেশের কেউই অপর দেশের জঙ্গি ও মৌলবাদী শক্তিকে উৎসাহ দেওয়ার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে না।” আলম জানান, তিনি নিজে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন রাজশাহির মানুষ। দু’বছর আগে জামাতে ইসলামির নেতৃত্বে এই অঞ্চলে এমন ভয়ঙ্কর হিংসা ও নাশকতা হয়েছে, যা আগে কখনও হয়নি। তাই রাজশাহির ভুক্তভোগী মানুষের তরফেও তিনি চান, কী ভাবে দুষ্কৃতীদের হাতে অর্থ ও অন্য সাহায্য এসেছে, তা দিনের আলোয় আসুক।