Advertisement
E-Paper

আগে রাস্তা-জল, পরে ভোট, আন্দোলনে তপামির্জাপুর

রাস্তা, পানীয় জল ও নিকাশির দাবিতে পোস্টার নিয়ে মাইক লাগিয়ে আন্দোলনে নামলেন বসিরহাটের তপামির্জাপুরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামে মাত্র একটি পানীয় জলের কল রয়েছে, যা কার্যত বিকল। গ্রাম থেকে বড় রাস্তায় যাওয়ার রাস্তা এতটাই সরু যে ভ্যান রিকশাও ঢুকতে পারে না। ফলে কেউ অসুস্থ হলে কাঁধে বয়ে নিয়ে যেতে হয়। অভিযোগ, প্রতিবারই ভোটের সময়ে রাজনৈতিক নেতারা ভোট চান। প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়ে যান। কিন্তু কাজ কিছুই হয় না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৪১

রাস্তা, পানীয় জল ও নিকাশির দাবিতে পোস্টার নিয়ে মাইক লাগিয়ে আন্দোলনে নামলেন বসিরহাটের তপামির্জাপুরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামে মাত্র একটি পানীয় জলের কল রয়েছে, যা কার্যত বিকল। গ্রাম থেকে বড় রাস্তায় যাওয়ার রাস্তা এতটাই সরু যে ভ্যান রিকশাও ঢুকতে পারে না। ফলে কেউ অসুস্থ হলে কাঁধে বয়ে নিয়ে যেতে হয়। অভিযোগ, প্রতিবারই ভোটের সময়ে রাজনৈতিক নেতারা ভোট চান। প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়ে যান। কিন্তু কাজ কিছুই হয় না।

গ্রামে সংখ্যালঘু পরিবারের সংখ্যা ৭০। ১০৫ নম্বর বুথে ভোটার রয়েছেন ২৪০ জন। বসিরহাটের প্যারাডাইস ক্লাবের পাশে টাকি রোডের ধারে দু’পাশের পাঁচিলের মধ্যে দিয়ে প্রায় ১০০ ফুট হেঁটে ঢুকতে হয় গ্রামে। তার মধ্যে আবার বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় ভ্যানরিকশা ঢুকতে পারে না গ্রামের ভিতরে। গ্রামবাসী মাজিদা বিবি, রহিমা বিবি, সালমা বিবিরা বলেন, “কেউ অসুস্থ হলে তাকে কাঁধে বা কাপড়ের উপর শুইয়ে বয়ে নিয়ে যেতে হয়। টাকি রোডে আনার পর কোনওরকমে ভ্যান রিকশা পাওয়া যায়। প্রশাসন যদি জমির মালিকদের রাজি করিয়ে পাঁচিল ভেঙে রাস্তাটা চওড়া করে, তা হলে সমস্যা মেটে।”

টাকি রোডের পাশে টাইম কলের তিনটি ট্যাঙ্ক থাকলেও গ্রামের ভিতরে সেই জল পৌঁছয় না। গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম গাজি, ইন্দাদুল ইসলাম গাজিরা বলেন, “আমাদের গ্রামের ১০০ ফুটের মধ্যে রয়েছে জলের ট্যাঙ্ক। পুর এলাকার মানুষ ওই জল পাচ্ছেন। অথচ আমরা পাচ্ছি না। গরমে একটি মাত্র কলের উপরে ৫০০ জন মানুষের ভিড় হলে কেমন অবস্থা হয় বলুন তো?”

রয়েছে নর্দমা সংস্কারের দাবি। বাসিন্দাদের দাবি, নর্দমা সংস্কারের অভাবে দুর্গন্ধে গ্রামে ঢোকা দায়। ওমর ফারুক গাজি, ফাতেমা খাতুনদের কথায়, “দিনের পর দিন নর্দমা পরিষ্কার করা হয় না। এখানকার পুর কমিশনাররা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে যান। তার পরে সব ফাঁকা।”

প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা তাই আন্দোলনের পথ নিয়েছেন। গ্রামে ঢোকার মুখে রাখা পোস্টার, ফেস্টুনে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক দলের প্রবেশ নিষেধ।

এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের পুর কমিশনার মীরা সরকারের ব্যাখ্যা, “রাস্তা চওড়া করতে হলে জমি চাই। জমির মালিকরা পাঁচিল ভেঙে জমি দিতে রাজি হয়নি। নর্দমা পরিষ্কার করার জন্য লোক পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু গ্রামবাসীরা রাস্তার ধারে নোংরা ফেলতে দেননি। জায়গা কম, তাই গভীর নলকূপ বসানো সম্ভব না। গ্রামের মধ্যে যাতে টাইম কলের ব্যবস্থা করা যায়, তা দেখা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের জন্য কিছু বিধি নিষেধের কারণে পাইপ লাইন বসানোর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ভোট মিটলে টাইম কল করা হবে।”

poster drainage drinking water basirhat road
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy