Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ট্রেনে বাসে ভোট চাইছেন প্রার্থীরা

সাত-সকালে হালকা হলদেটে সবুজ রঙা শাড়ি আর ম্যাচিং ব্লাউজে প্ল্যাটফর্মে ঘুরে, অফিস টাইমের লোকালে চেপে যাত্রীদের দুঃখ, দুর্দশার কথা শুনলেন সিপিএম প্রার্থী সুভাষিণী আলি। আর কংগ্রেসের প্রার্থী সম্রাট তপাদার চেপে বসলেন ভিড় বাসে। নিজের পরিচয় দিয়ে আলাপ পর্ব চলল বাসের শেষ স্টপেজ পর্যন্ত।

ট্রেনে প্রচারে সুভাষিণী।

ট্রেনে প্রচারে সুভাষিণী।

বিতান ভট্টাচার্য
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৩৫
Share: Save:

সাত-সকালে হালকা হলদেটে সবুজ রঙা শাড়ি আর ম্যাচিং ব্লাউজে প্ল্যাটফর্মে ঘুরে, অফিস টাইমের লোকালে চেপে যাত্রীদের দুঃখ, দুর্দশার কথা শুনলেন সিপিএম প্রার্থী সুভাষিণী আলি। আর কংগ্রেসের প্রার্থী সম্রাট তপাদার চেপে বসলেন ভিড় বাসে। নিজের পরিচয় দিয়ে আলাপ পর্ব চলল বাসের শেষ স্টপেজ পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশনের কড়াকড়িতে ভোট প্রচারে বিধিনিষেধ অনেক। তাই ধরন বদলেছে জনসংযোগের। এর আগে বর্ধমান, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪পরগণায় ট্রেনে-বাসে চড়ে প্রচারে বেরিয়েছেন প্রার্থীরা। এ বার সেই পথ ধরলেন ব্যারাকপুরের প্রার্থীরাও।

পতাকা বা ব্যানার বা শ্লোগান নয়। ভোটের প্রচারে সব প্রার্থীই যেন আম আদমি।

বুধবার সকাল পৌনে ন’টায় আপ নৈহাটি লোকালে ওঠেন সুভাষিণী। ব্যারাকপুর ছাড়ার পর নৈহাটি স্টেশনে পৌঁছোনো অবধি যাত্রীরাই সিপিএম প্রার্থীকে ছেঁকে ধরেন ট্রেনের নানা সমস্যার কথা শোনানোর জন্য। সুভাষিণী অবশ্য বারবারই বলেন, ‘‘জিতলে লোকসভায় আমি কাঁচরাপাড়ার কোচ ফ্যাক্টরি তৈরির ব্যাপারে কথা বলব। রেলের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’’


বাসে জনসংযোগ সম্রাটের।

নৈহাটিতে নেমে আবার অন্য একটি ট্রেনে হালিশহর পর্যন্ত যান সুভাষিনী। সেখানেও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কেউ কেউ প্রশ্ন করলেন তাঁকে, “আপনি জিতলেও এই ভাবে ট্রেনে চড়ে ঘুরবেন তো?” সুভাষিণীর উত্তর, ‘‘ব্যারাকপুরে অনেকবার এসেছি ট্রেনে-বাসে চেপেই।” ট্রেনের ফেরিওয়ালা শ্যামল সরকার তো বলেই ফেললেন, “এত চেঁচিয়েও টাটকা মাল বেচতে পারি না। তবে সুভাষিনীদি দেখিয়ে গেলেন কি করে ভোট ফেরি করতে হয়।’’

কংগ্রেস প্রার্থী সম্রাট তপাদার অবশ্য গোড়া থেকেই হাটে-বাজারে, বাস-অটো স্ট্যান্ডে ঘুরে ঘুরে নিজের প্রচার শুরু করেছিলেন। বাসে চেপে যাত্রীদের প্রতি তাঁর অনুরোধ, ‘‘আমিই একমাত্র প্রার্থী যে আপনাদের এলাকার ছেলে। বাকিরা তো পরিযায়ী পাখি! বছরভর আপনাদের সঙ্গে ছিলাম। যদি মনে করেন ঘরের ছেলেকে সুযোগ দেবেন, তাহলে পাশে থাকতে দিন।”

৮৫নম্বর রুটের বাসযাত্রী তন্দ্রা মুখোপাধ্যায় এমন প্রচারে বেশ খুশি। বললেন, ‘‘সম্রাটবাবু বাসে চেপে বিনয় দেখিয়ে প্রচার করে গেলেন। তবেজিতে এসেও এমনটা থাকলেই বুঝব।”

ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bitan bhattacharya barrackpore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE