Advertisement
০৭ মে ২০২৪

ভোট প্রস্তুতিতে হাওড়াই প্রথম, বললেন রাকেশ

নির্বাচনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার জন্য রাজ্যে হাওড়া জেলাকে সর্বোচ্চ নম্বর দিলেন পশ্চিমবঙ্গে নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুধীরকুমার রাকেশ। আগামী ৩০ তারিখ হাওড়ায় ভোট। তার সাত দিন আগে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার হাওড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। এ দিন দুপুরে হাওড়ার জেলাশাসকের বাংলোয় প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে যে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা এই জেলায় নেওয়া হয়েছে সে জন্য আমি হাওড়াকে সর্বোচ্চ নম্বর দিচ্ছি। নির্বাচন নিয়ে কয়েকশো অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। যে ভাবে কাজ চলছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তাতে আমি সন্তুষ্ট।”

হাওড়ার জেলাশাসকের বাংলোয় সুধীরকুমার।ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

হাওড়ার জেলাশাসকের বাংলোয় সুধীরকুমার।ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া ও বারাসত শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৪৮
Share: Save:

নির্বাচনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার জন্য রাজ্যে হাওড়া জেলাকে সর্বোচ্চ নম্বর দিলেন পশ্চিমবঙ্গে নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুধীরকুমার রাকেশ। আগামী ৩০ তারিখ হাওড়ায় ভোট। তার সাত দিন আগে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার হাওড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। এ দিন দুপুরে হাওড়ার জেলাশাসকের বাংলোয় প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে যে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা এই জেলায় নেওয়া হয়েছে সে জন্য আমি হাওড়াকে সর্বোচ্চ নম্বর দিচ্ছি। নির্বাচন নিয়ে কয়েকশো অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। যে ভাবে কাজ চলছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তাতে আমি সন্তুষ্ট।” এ দিন উত্তর ২৪ পরগনাতেও বৈঠক করে সন্তোষ প্রকাশ করেন সুধীরকুমার।

হাওড়ায় সুধীরকুমার সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন অফিসারের কাছে হাওড়া থেকে ৯০টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার মধ্যে একটি বাদে বাকি সব ক’টির ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। জেলাশাসকের কাছে জমা পড়া ২৫৭টা অভিযোগের ক্ষেত্রে ২৪৮টার মীমাংসা হয়েছে। বাকি রয়েছে মাত্র ৯টি। এক প্রশ্নের উত্তরে সুধীরকুমার বলেন, “ভোটের দিন প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা, তা কত সংখ্যক বাহিনী পাঠানো হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করছে। তবে অতি উত্তেজনাপ্রবণ ও উত্তেজনাপ্রবণ এলকায় মাইক্রো-পর্যবেক্ষক ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা হচ্ছে।”

এদিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন সুধীরকুমার। সন্ধ্যা সাতটা পাঁচ মিনিটে বৈঠক শুরু করেন, তা চলে দু’ঘণ্টা। জেলাশাসক ওঙ্কারসিংহ মিনা, পুলিশ সুপার এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসকদের নিয়ে তিনি বৈঠক করেন।

বৈঠকের পর জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “উনি কেবল হাতের তালুর মতো জেলাটা চেনেন তাই নয়, আগে থেকে অনেকটাই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন।” ওই আধিকারিক জানান, শাসন, বনগাঁ-সহ নানা সীমান্ত এলাকা, এবং শিল্পাঞ্চলের উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলির নাম করে করে সুধীরকুমার জিজ্ঞাসা করেন, অবাধ নির্বাচনের জন্য কী ব্যবস্থা সেখানে নেওয়া হয়েছে। পরে সুধীরকুমার সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনের প্রস্তুতি যথেষ্ট সন্তোষজনক।” তাঁর আশা, ভোটার এবং ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠবে না। তিনি বলেন, “সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জেলায় কিছু কিছু

জায়গা আছে, যা ভোটারদের যাওয়ার পক্ষে দুর্গম। সেই সব এলাকায় যাতায়াতে যাতে অসুবিধে না হয়, তাও আমরা নজর রাখব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE