Advertisement
E-Paper

সেতু সংস্কার, নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগ বিজেপি-র

নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে শুরু হয়েছে সেতু সংস্কারের কাজ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে এমনই অভিযোগ তুলল বিজেপি। গত ২০ মার্চ কাকদ্বীপ ব্লক বিজেপি সভাপতি কৌশিক দাস ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন, নির্বাচনী বিধি ভেঙে ১৯ মার্চ থেকে সন্তোষপুর ও কাকদ্বীপ পূর্ব বাজার সংযোগকারী কালনাগিনী খালের উপর সেতু সংস্কার করা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৪ ০০:৪৪
কালনাগিনী খালের উপরে সেই সেতু। ছবি: দিলীপ নস্কর।

কালনাগিনী খালের উপরে সেই সেতু। ছবি: দিলীপ নস্কর।

নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে শুরু হয়েছে সেতু সংস্কারের কাজ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে এমনই অভিযোগ তুলল বিজেপি। গত ২০ মার্চ কাকদ্বীপ ব্লক বিজেপি সভাপতি কৌশিক দাস ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন, নির্বাচনী বিধি ভেঙে ১৯ মার্চ থেকে সন্তোষপুর ও কাকদ্বীপ পূর্ব বাজার সংযোগকারী কালনাগিনী খালের উপর সেতু সংস্কার করা হচ্ছে।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ ব্লকের রামকৃষ্ণ পঞ্চায়েতে ওই খালের উপর প্রায় ৫০ ফুট কাঠের সেতু দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পারাপার চলছে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে বছর খানেক ধরে সেতুটির অবস্থা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। অথচ প্রতি দিন ওই সেতু দিয়ে কমপক্ষে হাজার মানুষ যাতায়াত করেন করে। দুর্ঘটনা এড়াতে সেচ দফতর সেতুর সংস্কারে উদ্যোগী হয়। ২০১৩ সালের অগস্টে সেতু সংস্কারের জন্য ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা অনুমোদিত হয়। কয়েক দিনের মধ্যে দরপত্র ডেকে কাজও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু কিছু দিন পরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফের চলতি বছরের ১৯ মার্চ থেকে সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ২০ মার্চ বিজেপির পক্ষ থেকে এ নিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করা হয়। তাঁদের দাবি, ওই সেতু সংস্কারের অনুমোদনের পরে ১০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা না করে নির্বাচনী বিধি ভেঙে কাজ শুরু করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছেও ফ্যাক্স মারফত অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে।

কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক ও সেচ ও জলপথ দফতরের প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “গঙ্গাসাগর মেলার আগে ওই সেতু সংস্কারের অনুমোদন পায়। ভোটের আগে উন্নয়নের কাজ নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। কারণ, নির্বাচন ঘোষণার অনেক আগেই সেতুটি সংস্কারের অনুমোদন পেয়েছিল।”

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, ওই সেতু সংস্কারের বিষয়ে বিডিওকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিডিও অভিজিত্‌ চৌধুরী বলেন, “ওই সেতু সংস্কারের ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধি মানা হয়নি। যখন সেতুটি সংস্কারের অনুমোদন পায়, তখন গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি চলছিল। ফলে কাজ শেষ করা যায়নি। তদন্তের রিপোর্ট মহকুমা শাসককে পাঠিয়েছি।”

bridge kakdwip kalnagini khal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy