যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক সঙ্কট নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ফাইল চিত্র।
বিশ্বের অন্যতম সেরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভাঁড়ারে টাকা নেই’, এ তত্ত্ব মানতে নারাজ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রতিষ্ঠানের উৎকর্ষ বজায় রাখতে প্রাক্তনীদের কাছে সম্প্রতি আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী।
ব্রাত্য বললেন, ‘‘বিদেশে, এমনকি, অক্সফোর্ডেও এটাই রীতি। এটাই নিয়ম।’’ সেই সঙ্গে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সময় পড়াশোনা করেছেন যাঁরা, নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তাঁদের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে, সে কথাও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে। তাই উৎকর্ষ বজায় রাখতে সম্প্রতি প্রাক্তনীদের এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এ নিয়ে প্রাক্তনীদের সংগঠনকে চিঠিও লেখেন উপাচর্য।
এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘প্রাক্তনীদের তহবিল সারা পৃথিবীর রেওয়াজ। আগের সরকারেও হয়েছে। এতে ভাঁড়ারে টাকা নেই প্রমাণ করে না। রাজ্য সরকারের কাছে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় টাকা চায়।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘আরইউএসইউ-এর (রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান) ৩০ কোটি টাকা এখনও বকেয়া।’’ গোটা বিষয় নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানান ব্রাত্য।
প্রসঙ্গত, মান ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে গত ২৪ অক্টোবর প্রাক্তনীদের সংগঠনকে চিঠি লেখেন উপাচার্য। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘বিশ্ব মানের জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে, তার মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত পরিকাঠামোর উন্নয়ন,পড়ুয়াদের অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো এবং উচ্চশিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা প্রয়োজন।’’ পরিকাঠামো উন্নয়নে যে অর্থাভাব অন্যতম বাধা, সে কথা উল্লেখ করেছেন চিঠিতে। ক্রমশ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি অনুদান কমছে বলেও জানান উপাচার্য।
এর আগে, করোনা অতিমারির কারণে লকডাউনের সময় প্রাক্তনীদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সময় অনলাইনে পঠনপাঠনের জন্য অনেক পড়ুয়ারই স্মার্ট ফোন ছিল না। পড়ুয়াদের স্মার্টফোন কিনে দিয়েছিলেন প্রাক্তনীরাই। চিঠিতে এই কথাও তুলে ধরেন উপাচার্য। আর্থিক সঙ্কট মেটানোর জন্য ‘প্রাক্তনী সেল’ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা যাদবপুরের প্রাক্তনীরা চাইলে ওই সেলের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য করতে পারবেন বলেও উল্লেখ করেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে প্রাক্তনী সেল তৈরির ওই প্রস্তাব এসেছিল। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাব গৃহীতও হয়।
অন্য দিকে, সিবিএসই, আইসিএসই স্কুল খোলার জন্য পোর্টালে আবেদন করা যাবে। অনলাইনে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য এইব্যবস্থা। ‘আই ক্লাউড’ নামে আরও একটা অনলাইন পোর্টালের উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী। এর সাহায্য শংসাপত্র ও মার্কশিট অনলাইনে সহজেই ডাউনলোড করতে পারবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy