প্রতীকী ছবি।
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বুথের পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে নির্দেশ জারি করে প্রতিটি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে প্রস্তাব চেয়েছে তারা। সরকারি সূত্রের খবর, জরুরি কিছু পরিবর্তনের মধ্যে থাকছে বুথ প্রতি ভোটারের সংখ্যা কমানো।
সরকারি সূত্রের খবর, ১৪০০ থেকে কমিয়ে এ বার থেকে প্রতি বুথে সর্বাধিক ১৩৫০ জন ভোটার রাখার প্রস্তাবে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এ জন্য বিভিন্ন বুথের বাড়তি ভোটার পাশের বুথে সরানো যেতে পারে। সে-ক্ষেত্রে দরকার পড়লে নতুন বুথ তৈরি করা যেতে পারে বলে প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে বুথ পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাসের এই প্রস্তাব জমা পড়তে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে। তবে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই যে সব বুথে ১৩৫০ জনের বেশি ভোটার ছিল তা নিকটবর্তী বুথে সরানো হয়েছে।
ভোটার সংখ্যা ১৩৫০ করার কারণ কী? কমিশনের সূত্র অনুযায়ী, রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবের দেওয়া নির্দেশনামাতেই তা স্পষ্ট। কারণ, কমিশনের সিদ্ধান্ত, আগামিদিনে সমস্ত ভোটেই ইভিএমের সঙ্গে ভোটার ভেরিফায়েব্ল পেপার অডিট ট্রেল বা ভিভিপ্যাট যন্ত্রটি থাকবে। কোন প্রতীকে কত ভোট পড়েছে, তা ভিভিপ্যাট যন্ত্রে কাগজে ছাপা হয়ে আলাদা একটি বাক্সে জমা হয়। ইভিএমের হিসেব নিয়ে কোনও গরমিলের অভিযোগ হলে ভিভিপ্যাটে জমা নথিগুলি খতিয়ে দেখা হবে। ভিভিপ্যাট যন্ত্রে একবার কাগজের রোল ভরা হলে ইভিএমে ১৫০০ বার বোতাম টেপার পরে তা ফুরিয়ে যায়।
এর পরেও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষার সময়ে কমবেশি একশোবার ইভিএমের বোতাম টেপা হয়। তাই কমিশনের সিদ্ধান্ত, কোনও বুথে ১৪০০ জনের বেশি ভোটার থাকলে কাগজের রোল ফুরিয়ে গিয়ে ভিভিপ্যাট যন্ত্রের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। একাধিক জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, কমিশনের কলকাতার অফিস থেকে তাই মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে, আপাতত পুনর্গঠনের প্রস্তাব পাঠানোর সময়ে প্রতি বুথে ১৩৫০ জন রাখাই বাঞ্ছনীয়। কমিশনের নির্দেশ মেনে বিভিন্ন বুথের বাড়তি ভোটার কোন বুথে সরানো যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জেলা স্তরে। সে ক্ষেত্রে একই পরিবারের সদস্যেরা যাতে দু’টি বুথে ভেঙে না যান তা-ও নিশ্চিত করার ভাবনাচিন্তা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy