Advertisement
১১ মে ২০২৪

তথ্য যাচাই চলবে গোটা নভেম্বরই

তথ্য যাচাইয়ের সময় বিভিন্ন ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য আট নম্বর ফর্ম জমা দিয়েছেন অনেক ভোটার।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫৩
Share: Save:

বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের (সিইও) আবেদনের ভিত্তিতে ইভিপি বা ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচির সময়সীমা আবার বাড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

প্রথমে ঠিক ছিল, ইভিপি কর্মসূচি চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। পরে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে জানানো হয়, ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত তথ্য যাচাই করা যাবে। দ্বিতীয় দফায় সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর করা হয়েছে। সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড এবং দিল্লি ছাড়া বাকি সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের (সিইও) জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

তথ্য যাচাইয়ের সময় বিভিন্ন ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য আট নম্বর ফর্ম জমা দিয়েছেন অনেক ভোটার। সেই প্রক্রিয়া শেষ করে তার সামগ্রিক প্রতিফলন ভোটার তালিকায় দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারেরা (সিইও)। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই তথ্য যাচাই কর্মসূচির মেয়াদ আবার বাড়ানো হল বলে জানিয়েছে কমিশন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি যাঁদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাঁদের নামই ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু তার পর থেকে নতুন আবেদন করার সুযোগ ছিল না। তাই ওই সময়সীমার পরে যাঁদের বয়স ১৮ বছর হয়ে গিয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকার নাম তুলতে পারেননি। নতুন ব্যবস্থায় তাঁরা ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন। যাঁদের বয়স

২০২০ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাঁরা ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। একই সঙ্গে ওই প্রক্রিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সংশোধন, সংযোজন এবং বিয়োজনের কাজও চলবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা। তথ্য যাচাই কর্মসূচির জন্য নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদনের এই প্রক্রিয়া কয়েক মাস দেরিতে শুরু হল বলে জানিয়েছে কমিশনের একাংশ।

রবিবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে তথ্য যাচাই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৬.৫২ কোটি (৯৩ শতাংশ) ভোটার। তাঁদের মধ্যে ১.২২ কোটি ভোটার তালিকায় থাকা বিভিন্ন তথ্য সংশোধনের জন্য ফর্ম জমা দিয়েছেন। সেই ফর্মের মধ্যে জন্ম-তারিখ ঠিক করার আবেদন রয়েছে ৬৪ শতাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CEO Election Commission of India EVP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE